গ্রামীণ টেলিকমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হবে কি না, সে বিষয়ে জানা যাবে ১২ জুন।
রবিবার এ মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। অপরদিকে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের পক্ষে তাদের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাকে লোহার খাঁচায় ভরা হয়েছে। আমি আদালতে বসে বসে চিন্তা করছিলাম মহাকাব্যের কথা। মহাকাব্যে কিছু দেবদেবী থাকে যারা অভিশাপ দেয়। যাদের ওপর অভিশাপ দেয় তারা অভিশপ্ত জীবন কাটায়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১২ জুন দিন ধার্য করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে আসেন ড. ইউনূস।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ২৯ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে এ মামলা করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম