রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
গ্রাহক ২২ কোটি ৬৫ লাখ, লেনদেন ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা শুধু আইন প্রণয়নের মধ্যে সংসদ সদস্যদের কাজ সীমাবদ্ধ নয় : স্পিকার ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হবে বাসে তুলে গরুর ব্যাপারীদের সর্বস্ব লুট, গ্রেফতার ১০ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে উদ্বেগ বিএফইউজে ও ডিইউজের খালেদা জিয়ার অবস্থা ক্রিটিক্যাল: ফখরুল যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে ধনী পরিবার হিন্দুজা’র ৪ সদস্যের কারাদণ্ড সুনামগঞ্জে বানবাসি মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছেই সেনাবাহিনী প্রধানের বিদায়ী দরবার অনুষ্ঠিত মার্কিন বিমানবাহী রণতরি দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছল মিয়ানমারে তীব্র সংঘাত বাংলাদেশে ঢুকতে পারে আরও রোহিঙ্গা কমলাপুরে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন এখনো স্বাভাবিক হয়নি টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচল তিন বোর্ডের এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বিশ্ববাজারে সোনার দামে ব্যাপক অস্থিরতা মোদীর সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী কাবার চাবি সংরক্ষক শায়েখ সালেহের ইন্তেকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের বিদায়ী সাক্ষাৎ সেতু ভেঙে খালে বরযাত্রীবাহী গাড়ি, নিহত ১০ ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজারকে দেখতে হাসপাতালে রেলমন্ত্রী

বোরো ধানের ফলনে সন্তোষ, দামে হতাশ কৃষক

নীলফামারী প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ২২ মে, ২০২৪
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

দিগন্ত জোড়া মাঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে বোরো ধানের সোনালি শীষ। সেই ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা। কেউ আঁটি বেঁধে ধানের বোঝা কাঁধে নিয়, আবার কেউ ভ্যানে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন ধান। তবে কৃষকের মুখে হাসি নেই। তারা বলছেন, এবার ধান উৎপাদনে খরচ পড়েছে বেশি। অথচ সেই তুলনায় বাজারে দাম নেই। তাদের লোকসান হবে।

এ চিত্র নীলফামারীর জেলার। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে ৮১ হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ২২ হাজার ৭০ টন। এ পর্যন্ত ২০ শতাংশ জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে।

তরনীবাড়ী এলাকার কৃষক আব্দুল জলিল হোসেন বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। বিক্রি হবে ৩৮ হাজার টাকার। ধানের দাম যদি বাড়তো তাহলে ধান চাষে পোষাতো। ধানের বাজার খারাপ। এ বাজারে ধান চাষ করে লাভ নেই।’

এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান নীলফামারীর লক্ষ্মীচাপ নিমতলী এলাকার কৃষক ললিত চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘এবছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। পোকার আক্রমণও ছিল তুলনামূলক কম। তবে দীর্ঘ খরা থাকায় বাড়তি সেচ দিতে গিয়ে খরচ বেড়েছে। ধানের দাম কম হওয়ায় কৃষকের লাভ কম হবে।’

শহরের মানিকের মোড় এলাকার কৃষক রজব আলী বলেন, ‘বিদ্যুৎ, সার, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরি—সবকিছুর দাম বাড়তি। অথচ ধানের সেরকম দাম নেই। এত অল্প লাভে ধান চাষ করা মানেই লোকসান।’

মীরগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে প্রতিমণ হাইব্রিড জাতের ধান বিক্রি হয়েছে ১১৫০ টাকা মণ। এখন সেই ধান বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-১০০০ টাকা মণ। কৃষকরা বলছেন, এই দামে ধান বিক্রি করে লাভ হবে না। নিরুপায় হয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

নীলফামারী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক হাসান বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ছিল কম। কীটনাশকের ব্যবহারও লেগেছে অল্প।

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত সদরে ১৫ শতাংশ ধান কৃষকের ঘরে উঠেছে। চলতি মাসেই বাকি ধানগুলো কাটা শেষ হতে পারে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকার ৩২ টাকা কেজি দরে ধান কিনবে। সে হিসেবে এক বস্তা ধানের দাম দুই হাজার ৪০০ টাকা। সরকারি রেটে ধান কেনা শুরু হয়নি, তাই হয়তোবা দাম কম।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com