ফেনীর মুহুরীগঞ্জে ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দুইটি মামলা হয়েছে। মামলায় দুর্ঘটনাস্থলের রেল ক্রসিংয়ের দায়িত্বে থাকা গেটম্যান মো. সাইফুল এবং মো. রাশেদকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) রিটন চাকমা।
রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) রিটন চাকমা বলেন, গেটম্যানদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে দুইটি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে আমি বাদী হয়ে একটি মামলা করেছি। তাদের (গ্যাটম্যানদের) বিরুদ্ধে দাপ্তরিক তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত দুইজনকে সাময়িক বরখাস্তের প্রক্রিয়া চলছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনার সময় সিগন্যাল বারটি ফেলা হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফেনীর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন বালুমহাল এলাকায় চট্টগ্রামগামী একটি মেইল ট্রেন বালুবাহী ট্রাককে ধাক্কা দেয়। ওই ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় গেটম্যান ঘটনাস্থলে ছিলেন না। ফলে ওইসময় সিগন্যাল বারটি ফেলেননি কেউ। এ কারণে ট্রাকটি বিনা বাধায় রেললাইনে উঠে পড়ে। এরপর দ্রুতগতির ট্রেন ট্রাকের পেছনের অংশে ধাক্কা দেয়।
এদিকে, ওই দুর্ঘটনার কারণ জানতে রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনিসুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন- রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবদুল হানিফ, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) সাজিদ হাসান নির্জর, রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কমানডেন্ট রেজানুর রহমান, রেলওয়ের বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন এবং বিভাগীয় টেলিযোগাযোগ ও সংকেত প্রকৌশলী জাহেদ আরেফিন তন্ময়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে আসলে কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় রেলওয়ে একটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে কারণ অনুসন্ধান করছে। কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ