রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের পর মারা গেল ছেলেও ১৯ বছর পর প্রকাশ্যে জামায়াতের রুকন সম্মেলন আজ রোনালদোর ৯০৬, পর্তুগালের টানা তৃতীয় জয় পাবনায় আ.লীগের হামলায় বিএনপির ২৫ কর্মী আহত শেবাচিম হাসপাতালে আগুন: নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯ ইউনিট ব্রাজিলে ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বিনিময় আজ দৌলতদিয়ায় আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবককে কুপিয়ে হত্যা বঙ্গোপসাগরে নোঙর করে রাখা এলপিজি বহনকারী জাহাজে আগুন সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শেষ হচ্ছে আজ ডেঙ্গুতে একদিনে রেকর্ড ৯ জনের মৃত্যু ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় ডিএমপিতে মামলা ৮৩৮, জরিমানা ৩৮ লাখ আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার নেই: ইসি সংস্কার প্রধান ফেনীর সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্লাহ ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার ময়মনসিংহে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা ‘উৎসব অন্ধকার থেকে আলোকের উদ্ভাসন’ ফরিদপুরে অ্যালকোহল পানে দুই কলেজছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রামে চীনা নৌ জাহাজ আপনারা না পারলে দায়িত্ব আমাদের দেন: সারজিস আলম

সাকিবের বিএনএমে যোগদানের বিষয়টি জানা ছিল না: কাদের

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নির্বাচনের আগে কিংস পার্টি খ্যাত বিএনএমতে যোগদানের বিষয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বিষয়টি মিডিয়ায় দেখেছি। এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা ছিল না।

তিনি বলেন, এখন সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে নির্বাচন করেছে, জয়লাভও করেছে। নমিনেশন পার্টির কাছে যাওয়ার সময় সে দলের প্রাথমিক সদস্য। তার আগে তো সাকিব আমাদের দলের কেউ ছিল না। নমিনেশন দেওয়ার সময় প্রাথমিক সদস্য পদ দিতে হয়। এর আগের বিষয়টা জানি না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ। এ অবস্থায় গালিগালাজ করা ছাড়া তাদের করার কিছু নেই। দলটি এখন ইফতার পার্টির নামে সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে।

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে, এটাকে ইফতার পার্টি বলবো নাকি গিবত পার্টি বলবো। আওয়ামী লীগের গিবত করার জন্যই ইফতার পার্টি। স্রষ্টার প্রশংসার জন্য নয়, ইফতার পার্টির নামে ঢালাওভাবে সরকারের সমালোচনা করে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে বিএনপি মিথ্যা বললে, জবাব তো দিতেই হবে। তারা মিথ্যা কথা বলা বন্ধ করুক। তাহলে ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা গায়ে পড়ে কিছু বলতে যাব না।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপিকে ভাঙার অভিযোগ নিয়ে এক বিএনপি নেতার বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে আমরা কেন ভাঙতে যাব? আমাদের কি কোনো দুর্বলতা আছে, যে বিএনপি থেকে লোক এনে সে ঘাটতি পূরণ করতে হবে। আওয়ামী লীগের বহু লোক। গত নির্বাচনে দেখেছেন প্রার্থিতা ফরম নিতে কত ভিড়। আওয়ামী লীগে কোনো দুর্ভিক্ষ নেই।

গত জাতীয় নির্বাচনে কিংস পার্টির সৃষ্টি নিয়ে সরকারের ভূমিকা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের এখানে অনেক ফুল ফোটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এ সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আমরা প্রত্যেককে রাজনৈতিক দল হিসেবে দেখি। নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন দেয়।

বাংলাদেশের গণতন্ত্র উদ্ধারে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া নিয়ে বিএনপির এক নেতার বক্তব্যর বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা বন্ধু রাষ্ট্র বলতে ভারতকে বুঝিয়েছে। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে। নির্বাচনও হয়েছে। বিএনপির বন্ধপ্রতিম দেশের কাছে সাহায্য চাওয়ার অর্থ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া। নির্বাচন ছাড়া তাদের কেউ ক্ষমতায় বসাবে এটা তো হতে পারে না। ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়।

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মানদণ্ড নিয়ে মার্কিন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদের একটা মানদণ্ড আছে। পৃথিবীর কেউ পারফেক্ট নয়। আমরাও সেই দাবি করি না। আমেরিকার এক সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন ‘আমি নির্বাচিত না হলে রক্ত বন্যা বয়ে যাবে।’

এটা কোন গণতন্ত্র? নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত মেনে নেয়নি। কাজে মানদণ্ড বোঝা মুশকিল। আমাদের দেশে ২১ বছর সামরিক শাসক এবং তার অনুসারীরা ক্ষমতায় ছিল। দেশে গণতন্ত্রের চর্চা ছিল না।

গণতন্ত্রের নামে যারা ক্ষমতায় বসেছে তারা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা প্রহসনের নির্বাচন করেছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হা না ভোট আরেকটা প্রহসন। যারা ওয়ান ইলেভেনের সময় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করেছে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য। সেখান থেকে অস্বাভাবিকভাবে সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থেকেছে। কাজে আমাদের মানদণ্ড ভিন্নতর।

এ সময় ২৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে তিনি জানান, সরকারের বেঁধে দেওয়া কিছু পণ্যের দাম এরই মধ্যে কমেছে। অন্যান্য পণ্যের দামও মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকারের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। অপেক্ষা করুন। চেষ্টা করলে ফল পাওয়া যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com