রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
অস্থায়ী পাস নিয়ে সাংবাদিকরা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন ৩১ ডিসেম্বর নিয়ে যা বললেন আসিফ মাহমুদ প্রথমবারের মতো যে পরিবর্তন এলো বিসিএসে, আবেদন শুরু কাল থেকে অস্থায়ী পাস নিয়ে সচিবালয়ে ঢুকতে পারবেন সাংবাদিকরা ৩১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক দল ঘোষণা করা হবে বিপিএলের পর্দা উঠছে আগামীকাল আগামীকাল থেকে ফের শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা গোয়েন্দা সংস্থা সংস্কারের ঘােষণা দিলেন সিরিয়ার নতুন গোয়েন্দা প্রধান ৩১ ডিসেম্বরের ঘোষণাপত্রটি লিখিত দলিল হবে: সারজিস বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নারীসহ নিহত ৫ আবারও শাহবাগ অবরোধ করলেন চিকিৎসকরা সচিবালয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় শতাধিক সাংবাদিক একদিনে আরও ৩৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল ভোটার এলাকা পরিবর্তনে ভোগান্তি কমছে নাগরিকদের নড়াইলের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে দ্যুতি ছড়াচ্ছে হলুদের আভা বেক্সিমকো ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কোনো দায় নেবে না সরকার হিন্দু সে‌জে ডাকা‌তির প্রস্তু‌তিকালে নারীসহ গ্রেপ্তার ১০ অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে ২ মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বাংলাদেশি দম্পতির মৃত্যু তাদের শাস্তি না দিয়ে কী করে সংস্কার করবেন, প্রশ্ন সারজিসের দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ১৮১ আরোহীর ১৭৯ জনই নিহত

১১ কোটি টাকার হিসাবে গরমিল, ফাঁসছেন ব্যাংক কর্মকর্তা

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

জনতা ব্যাংক লিমিটেডে কর্মরত মো. এনায়েত উল্লাহ নামের এক সিনিয়র অফিসারের ১১ কোটি ২১ লাখ টাকার হিসাবে গরমিল ধরা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে।

দালিলিক হিসাব অনুযায়ী স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও ঋণসহ ওই সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেলেও তার বিপরীতে দুদকের অনুসন্ধানে ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস মিলেছে। অর্থাৎ ৮২ লাখ ৬৯ হাজার টাকার হিসাব দিতে পারেননি ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।

যে কারণে এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকা সূত্রাপুরে ১৪ শতাংশ জমিতে নির্মিত ভবনে ১৬টি ফ্ল্যাটের মালিকানা, নন্দীপাড়ায় সাড়ে ১৩ শতাংশ জমি, সাতারকুলে ১৪ শতাংশ জমি, পূর্ব বাসাবোতে একটি ফ্ল্যাট, উত্তরখানে ৫ শতাংশ জমি, সিদ্ধেশ্বরী ও বাকুশাহ হকার্স মার্কেটে তিনটি দোকানসহ নিজ এলাকা চাঁদপুরে ৯০ শতাংশ জমির মালিকানা। শুধু তাই নয় ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর হিসাবে ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের তথ্যও মিলেছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে। এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয়, আপনি জনসংযোগ দপ্তরে যোগাযোগ করেন।

অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. এনায়েত উল্লাহ ১৯৮৭ সালের ১ ডিসেম্বর জনতা ব্যাংকের গোডাউন কিপার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০১০ সালে অফিসার পদে এবং ২০১৬ সালে সিনিয়র অফিসার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে একই পদে কর্মরত আছেন। তার স্ত্রী হাসিনা বেগম একজন গৃহিণী। তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে।

অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. এনায়েত উল্লাহর নিজ ও স্ত্রীর নামে সর্বমোট ১ কোটি ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫১২ টাকার স্থাবর এবং ৮ কোটি ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৪২ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। দালিলিক হিসাব অনুযায়ী সব মিলিয়ে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

অন্যদিকে এনায়েত উল্লাহর আয়কর নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে আয়কর নথি খোলেন। সেখানে তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যাংকের চাকুরির বেতনভাতার সঞ্চয় বাবদ ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদর্শন করেছেন। অনুসন্ধানকালে উক্ত আয়সহ ২০২২-২৩ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী তার ৪ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার ৭১৯ টাকার আয় পাওয়া যায়।

ওই আয়ের বিপরীতে পারিবারিক ব্যয় ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৩৪০ টাকা ও ঋণ পরিশোধ ১ কোটি ৩২ লাখ ৬৯ হাজার ৯০০ টাকাসহ মোট ব্যয় পাওয়া গেছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪২ হাজার ২৪০টাকা। আয় ছাড়াও তার ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৫ টাকার ঋণ রয়েছে। ওই ঋণসহ তার আয় দাঁড়ায় ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪ টাকা।  

সার্বিক পর্যালোচনায় স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৫ টাকার সম্পদ এবং পারিবারিক ব্যয় ও ঋণ পরিশোধসহ তার ব্যয় ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪২ হাজার ২৪০ টাকা যোগ করলে ১১ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ৮৯৪ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। যার বিপরীতে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া গেছে দুদকের অনুসন্ধানে। অর্থাৎ ৮২ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বলে মনে করছে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

সে কারণে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা রুজুর সুপারিশ করেছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান। কমিশন থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানা গেছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com