শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নুরানী বোর্ডের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৫.২৫ শতাংশ সচিবালয়ে প্রবেশ পাসের বিশেষ সেল গঠন মাশরাফির জন্য অপেক্ষা করবে সিলেট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট হতেই হবে : এম সাখাওয়াত ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করলেন মির্জা ফখরুল সিলেটে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৯ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত সংস্কারের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নেবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী রোববার থেকে দক্ষিণ সিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে অভিনেত্রী স্বাগতাকে লিগ্যাল নোটিশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত ৬, সেই বাসচালক গ্রেফতার বিএসএফের বাধার মুখে পড়া মুহুরী নদীর সেই সেচ পাম্প চালু বিএনপি-জামায়াতকে কঠিন হুঁশিয়ারি মামুনুল হকের নিজে নন, শাহিন আফ্রিদির চোখে বাংলাদেশিরাই বড় তারকা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা, বেনজীরের কেয়ারটেকারসহ গ্রেপ্তার ৪

গুজব প্রতিরোধ ডিসিদের ৪ কৌশলে কাজ করতে বললেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

সাইবার নিরাপত্তা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চারটি কৌশল অনুসরণের কথা বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ কার্য অধিবেশন হয়।

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, সরকার এবং জনগণের মধ্যে মাঠপর্যায়ে সেতুবন্ধনের ভূমিকা পালন করেন জেলা প্রশাসকরা। একদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, অন্যদিকে উন্নয়ন কার্যক্রম তদারকি করা।

উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের যে দায়িত্ব রয়েছে, সেই বিষয়গুলো নিয়েই আমাদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা কী কী করতে পারি এবং তাদের কী প্রত্যাশা আমাদের কাছে, তাদের কী প্রয়োজন আছে ও তাদের কাছে আমাদের কী প্রত্যাশা- এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিসিরা বলেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ করা, যখন পরীক্ষা হয়, তখন প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া, না হওয়া অথবা ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে যখন সাইবার বুলিং ও সাইবার ক্রাইম হয় সেই বিষয়ে তাদের (ডিসি) উদ্যোগ কী হতে পারে, সেই বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। তারা কী ধরনের সহযোগিতা পেতে পারেন সেই বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি, আমাদের সাইবার নিরাপত্তা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ করার জন্য আমরা তাদের চারটি কৌশলগত বিষয়ে সচেতনভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি।

‘প্রথমত, ডিজিটাল ও এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স) লিটারেসি সচেতনতা তৈরি করা। দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা। তৃতীয়ত, যেসব আইন রয়েছে, সেগুলোর শক্ত প্রয়োগ করা। চতুর্থ, পুলিশ প্রশাসন যাতে একাডেমিয়া, মিডিয়া এবং প্রাইভেট সেক্টরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে। এই চারটি কৌশল আমরা বলেছি, সাইবার সিকিউরিটি এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে গুজব প্রতিরোধের জন্য।’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।

পলক বলেন, ডিসিদের আরেকটি চাহিদা ছিল, জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য সেল স্থাপন করা। সেটা আমরা বিটিসিএল এবং ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম থেকে বিভাগ এবং জেলা পর্যায়ে আইসিটি সেল স্থাপনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছি।

পাশাপাশি আমাদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যে আইসিটি ও আইসিটি কমিটি আছে, তারা যেন মাসে মাসে মিটিং করে বিভিন্ন ধরনের সাইবার ও ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটিস প্রতিরোধের বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগগুলো পাঠায়। যাতে আমরা সেসব অপরাধমূলক কার্যক্রমগুলো প্রতিরোধ করতে পারি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে, ঢাকার বাইরে বিভাগ-জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্টার্টআপ কালচারটা ছড়িয়ে দেওয়ার। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি, আপনারা জেলা পর্যায়ে একটা স্টার্টআপ চ্যালেঞ্জ আহ্বান করবেন। যেখানে আমরা আইসিটি বিভাগ থেকে আমাদের স্টার্টআপ ও নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্য ফান্ডিং ও মেন্টরিং কোচিং সাপোর্ট দেবো।

‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আরও স্মার্ট কর্মসংস্থান তৈরি করা। এর পাশাপাশি আমরা আরেকটা আহ্বান করেছি, বিভাগ-জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১৮ হাজার দপ্তর রয়েছে, তারা যেন আমাদের বিটিসিএলের উচ্চগতির ইন্টারনেট জিপন রয়েছে, সেটা যেন ব্যবহার করেন। আমাদের ৪ লাখ উচ্চগতির ইন্টারনেট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। অথচ আমরা মাত্র ৫৯ হাজার সংযোগ দিয়েছি।’ যোগ করেন পলক।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, খুব স্বল্পমূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট যদি তারা নেয় আমরা কোয়ালিটি নিশ্চিত করবো। তাতে আমাদের বিটিসিএল যে লসে আছে তা খুব সহজে লাভে নিতে পারবো। এ ধরনের বেশ কিছু প্রত্যাশা আমরা তাদের কাছে জানিয়েছি।

আমার বিশ্বাস আমরা যদি তা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আগামী পাঁচ বছরে ৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের যে চূড়ান্ত লক্ষ্য সেটি বাস্তবায়নে আজকের সভা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com