২১ বছর পর মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত একটি গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার রাতে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ভূমদক্ষিণ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামি আবুল মিয়া ওরফে রাজিব (৪৫) সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা উত্তর পাড়া গ্রামের গেদা ফকিরের ছেলে।
জানা যায়, সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা চর উলাইল গ্রামের ভুক্তভোগী ঢাকা জেলার হেমায়েতপুরে একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন। আসা যাওয়ার পথে আবুল তাকে কুপ্রস্তাব দিতো। কুপ্রস্তাবে সাড়া না দিলে আবুল তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ মে গার্মেন্টেস থেকে বাড়ি আসার পথে ধল্লা বাজারে পৌঁছলে আবুল মিয়া (২৫), মানিক (২৮), খালেক (৫০) ও কালাম (৫০) তার মুখ ও গলা চেপে ধরে জোরপূর্বক অপহরণ করে গাজিন্ধার চকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় তার বাবা মো. ভোলা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল ও মানিকের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৭ সালের ১৪ মে আবুলকে ১৪ বছর ও মানিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক থাকায় আদালত আবুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আবুল ছদ্মনাম রাজিব ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থেকে দিনমজুর ও সবজি বিক্রি করতো বলে জানা যায়।
বাংলা৭১নিউজ/এআর