কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দুইবারের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাককু বলেছেন, ‘রাতে পোস্টার লাগালে কে বা কারা আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। গতকাল আমাদের একজন ছেলেকে মারধরও করা হয়েছে। এভাবে তো আর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। আমি আমার মতো চেষ্টা করছি। আমিতো এর আগেও দুইবারের মেয়র ছিলাম।
আমি বেশকিছু বড় বড় বাজেটও এনেছি। কিন্তু, তৃতীয়বার মেয়র হতে পারিনি বিধায়, আমার এই অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে পারিনি। এবার মেয়র হলে আমি আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে একটি আধুনিক ও সুন্দর কুমিল্লা নগরী গড়ে তুলতে চাই।’
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলি, জিলা স্কুল রোড, নবাব ফয়জুন্নেসা স্কুল সড়ক, রাণীর বাজার ও চকবাজার এলাকায় প্রচারণা চালানোর সময় এসব কথা বলেন তিনি। সাককু কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনে ‘টেবিল ঘড়ি’ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সাককু বলেন, ‘প্রতিবার মানুষকে ধোঁকা দেওয়া যাবে না। মানুষ আমাকে প্রশ্ন করে, ভোট রক্ষা করতে পারবেন কিনা? আমি বলি, আপনারা সকাল সকাল কেন্দ্রে যাবেন। ভোট রক্ষা করার জন্য যা যা করা দরকার প্রশাসন তা করবে। আপনারা ভোট কেন্দ্রে আসুন। যাকে ভালো লাগে তাকে ভোট দিন।’
মনিরুল হক সাক্কু ২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি ও ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ টানা দুই মেয়াদে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০২২ সালের কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত।
২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর চিকিৎসা চলাকালে তার মৃত্যু হয়। এরপর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ময়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনে তারিখ ঘোষণা করে। আগামী ৯ মার্চ ১০৫টি ভোট কেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট নেওয়া হবে। নির্বাচন ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে। এবার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ