প্রবহমান তিস্তা নদী এখন বিস্তীর্ণ বালুচর। নদীর বিভিন্ন স্থানে পড়ে রয়েছে জেলেদের নৌকা। বর্ষাকালে দিনভর মাছ ধরায় ব্যস্ত থাকলেও এখন নদীতে পানি না থাকায় জাল বুনন আর পানির অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তার বিস্তীর্ণ বালুচর ধু ধু করছে। অবসর সময় জাল বুননে পার করছেন মৎস্যজীবীরা। কিছু অংশে পানি থাকলেও নেই মাছের দেখা। তাই উপার্জন না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম অবস্থা মৎস্যজীবীদের।
মৎস্যজীবী সুকুমার দাস বলেন, আগে নদীতে সবসময় পানি ছিলো। আমরা এক বুক পানিতেও মাছ ধরেছি তখনকার সময়ে ভালোই মাছ পেতাম। শীতকালে বালুচর হয়ে গেছে তিস্তা। গরমকালে অবস্থা আরও খারাপ হবে।
আরেক মৎস্যজীবী বুলবুল ইসলাম বলেন, আমারা এখন মাছ ধরতে পারছি না। সারাদিন হাঁটু পানিতে জাল ফেলেও তেমন মাছ পাই না। পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। জাল বুনছি। জাল বাজারে নিয়ে গেলেও তেমন কেউ কিনতে চায় না। ফলে পরিবার নিয়ে কষ্টে আছি। নদীতে পানি না থাকায় ধরা পড়ছে না মাছ। ফলে তিস্তায় নির্ভরশীল জেলেরা অন্য পেশা বেছে নিচ্ছেন।
জাহেদুল হক নামে এক মৎস্যজীবী জানান, প্রায় চার মাস থেকে নদীর পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। তখন থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছি। সরকারিভাবে কোনো সাহায্য সহযোগিতা করা হয় না। অনেকে বাধ্য হয়ে বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যাচ্ছেন।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোস বলেন, তিস্তা পাড়ের যেসব মৎস্যজীবী আছেন তাদের তালিকা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তাদের সহায়তা দেওয়া হয়৷
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ