বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সবগুলো মামলার জামিনের পরে ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্টসমূহ’ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন আইনজীবীরা।
আজ দুপুরে বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুই শীর্ষ নেতার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার এসব কথা জানান।
তারা বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে যেসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সেসব মামলায় আদালত থেকে ওনারা জামিন পেয়েছেন। যেহেতু ওসব মামলায় আদালতে হাজিরার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ছিলো সেসব ওয়ারেন্টসমূহ প্রত্যাহার করার আইনি বিধান থাকায় আমরা ওসব প্রডোকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের জন্য কাজ ইতিমধ্যে শুরু করছি। এগুলো শেষ হলে ওনারা মুক্তি পাবেন। আমরা আশা করছি দুপুরে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছে যাবে।
অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার জানান, বিএনপি মহাসচিবের নামে ১৩টি মামলায় প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট রয়েছে। ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় গতকাল (বুধবার) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের বিএনপির এ দুই জ্যেষ্ঠ নেতার জামিন মঞ্জুর করেন। এই মামলার জামিনের আগে আরও ১০টি মামলায় তাদের জামিন হয়েছে।
এই দুই নেতার জামিন বিষয়ে তাদের আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা জামিন হয়ে যাওয়ায় এখন তাদের মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা নেই।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এবং ২ নভেম্বর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে তাদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং পরে ২৮ অক্টোবর বিএনপিরর মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ