শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস বাংলাদেশে সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ নতুন যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের অংশীদারত্ব চান ড. ইউনূস ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, নতুন রোগী ৮২৯ জন ৪৩তম বিসিএস থেকে মাধ্যমিকে সহকারী শিক্ষক হলেন ১৪৩ জন ড. ইউনূসকে হত্যার হুমকি, আদালতে মামলা এ বছরও স্কুলে ভর্তি লটারিতে শহিদদের আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ আন্দোলন সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জোগাবে সুদানে কলেরার প্রাদুর্ভাবে মৃত্যু বেড়ে ৪৭৩ কৃষকদের মূল্যায়ন করতে হবে: কৃষি উপদেষ্টা তাইওয়ান প্রণালীতে এই প্রথম যুদ্ধজাহাজ পাঠালো জাপান হত্যা মামলায় নাট্য নির্মাতা রিংকুর জামিন নগদ লভ্যাংশ দিলো রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি গণমানুষের কল্যাণই জামায়াতের রাজনীতির আদর্শ: শফিকুর রহমান ‘মানুষ আশা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেবে’ মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টা ‘পূর্ণ শক্তি’ নিয়ে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নির্দেশ নেতানিয়াহুর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে, এএনআইকে ফখরুল

ঠাকুরগাঁও আমদানির খবরে হু হু করে কমছে আলুর দাম

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ঠাকুরগাঁওয়ে আলুর দাম কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ১৪-১৫ দিন আগেও প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) আলু কৃষকরা বিক্রি করেছেন ২২৫০ থেকে ২৩০০ টাকায়। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০০-৯৫০ টাকায়।

কৃষকদের দাবি, দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচই উঠছে না। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানির খবর পেয়ে আলু কেনা কমিয়ে দিয়েছেন তারা।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন, চিলারং, সালান্দর, রহিমানপুর, মোহাম্মদপুর, চাড়োলসহ অনেক এলাকার চাষিরা জমি থেকে আলু উত্তোলন করছেন।

সদর উপজেলার নারগুন এলাকার কেরামত বলেন, বর্তমানে বাজারে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও ওই আলু কৃষকের কাছ থেকে পাইকাররা নিচ্ছেন ১৭-১৮ টাকা দরে। এখন আলু বিক্রি করে কোনো লাভ হচ্ছে না।

একই এলাকার শাহজাহান জানান, বর্গা নিয়ে ১২ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন তিনি। এক বিঘায় (৫০ শতক) খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। আলু পাওয়া যাবে ৯০ মণের মতো। বর্তমানে এক বিঘা জমির আলু বিক্রি করে পাওয়া যাচ্ছে ৬৩ হাজার টাকা। সে হিসাবে প্রতি বিঘায় ৬-৭ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

জেলার অন্য উপজেলাতেও আলু তুলেছেন কৃষকরা। হরিপুর উপজেলার আমগাঁও গ্রামের কৃষক পুষ্প রায় জানান, ধান-চাল ও গমের মতো আলুর দামও সরকার নির্ধারণ করে দিলে কৃষকরা লোকসান থেকে রক্ষা পাবে।

আলুর পাইকারি ক্রেতা সাদেক হোসেন বলেন, বর্তমানে পুরোদমে আলু ওঠা শুরু হয়েছে, তাই দাম কমছে। এছাড়া ভারত থেকে আমদানির খবর পেয়ে মূল্য হু হু করে কমে যাচ্ছে।

হিমেস রানা নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি আলু ৬৫-৭০ টাকা পর্যন্ত কৃষকদের কাছ থেকে কিনেছি। বর্তমানে ১৭-১৮ টাকা দরে কিনছি।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আলুর ব্যাপক দরপতনে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ভালো দাম পাওয়ার জন্য আলু সংরক্ষণ ও জাতভেদে চাহিদা অনুযায়ী চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com