বিএনপি নেতা কাইয়ুমকে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরত না পাঠানোর দাবি জানিয়েছে, দেশটির মানবাধিকার সংস্থা সুরাম। মানবাধিকার সংস্থা সুরামের আইনজীবী এন্ড্রু হু বলেন, এম এ কাইয়ুম মালয়েশিয়ায় জাতিসংঘের ইউএনসিএইচআরের শরণার্থী-বিষয়ক কার্ডধারী। আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য অভিবাসন বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
একইসঙ্গে কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠাতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরও সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এই আইনজীবী।
তিনি আরও বলেন, এম এ কাইয়ুম দেশীয় রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার এবং তাকে এই মুহূর্তে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হলে তার সমূহ ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে কাইয়ুমকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হলে এটা হবে দেশে প্রচলিত সামগ্রিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট বিধি লঙ্ঘন ও অমানবিক কাজ।
মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক সেভান ডোরাইসামি অভিবাসন বিভাগকে বলে, এম এ কাইয়ুমের নির্বাসনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।
সুরারামের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, অবশ্যই কাইয়ুমকে নির্বাসনের যেকোনো পরিকল্পনা বন্ধ করতে হবে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দেশটির জাতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে এসব তথ্য এসব তথ্য উঠে এসেছে। এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটির মানবাধিকার সংস্থা সুয়ারা রাকায়াত মালয়েশিয়া (সুরাম)।
১২ জানুয়ারি বিএনপি নেতা কাইয়ুমকে অভিবাসন বিভাগের গোয়েন্দা সংস্থার পুলিশের অভিযানে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ-বিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইয়ুমকে আটকের পর ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগের যাবতীয় প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে দেশটির আদালত।
একইসঙ্গে বিএনপি নেতা কাইয়ুমকে জামিনের নির্দেশ দেন আদালত। আদালত সেই আদেশ দেওয়ার ছয় দিন পর কাইয়ুমকে দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে অভিবাসন বিভাগ।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে বাংলাদেশে জাপানের এক ত্রাণকর্মী সিজার তাভেল্লাকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এম এম কাইয়ুম। যদিও কাইয়ুম দাবি করেছেন তাকে যড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ