রাঙামাটিতে দুই অঞ্চলিক সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, রাজস্থলী উপজেলায় গোলাগুলির ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রাজস্থলী থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গাইন্ধ্যা-বাঙ্গালহালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, এখানকার নিয়মিত একটি ঘটনার চিত্র এটি। আমরা যতটুকু জেনেছি, পাহাড়ের দুই আঞ্চলিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস এবং মগ পার্টির মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী পৌঁছানোর আগেই তারা সটকে পড়ে। সেখানে আহত বা নিহত হওয়ার কোনো আলামত বা গুলির খোসা পাওয়ার তথ্য এখনও আমাদের কাছে নেই।
ওসি আরও বলেন, পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র কর্মীরা আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ের কারণে প্রায়ই এমন ঘটনায় লিপ্ত হন।
দুটি সংগঠনের মধ্যে মাঝে মাঝে সংঘাত হলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেগুলো আড়ালেই থেকে যায়। সকালে ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলির ঘটনায় জানাজানি হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ আনসারুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি যতটুকু জানি পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন (জেএলএ) ও মারমা ন্যাশনাল পার্টির (এমএনপি/মগপার্টি) মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে এখনও যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এই বিষয়ে দুই আঞ্চলিক সংগঠনের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, ঘটনাটি জানার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে গেছে। তারা ফিরে এসে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেয়ার পর আমরা বিস্তারিত জানতে পারব।
গোলাগুলির ব্যাপারে জানতে জনসংহতি সমিতির একাধিক নেতাকে মোবাইলে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। মগ পার্টির প্রকাশ্য কোনো নেতৃত্ব না থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে