বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। কোনো এলাকায় গ্যাস মিলছে আবার কোনো এলাকায় মিলছে না। অনেক বাসা বাড়িতে এখনো চুলো জ্বলছে না, সিএনজি স্টেশনে মিলছে না যানবাহনের গ্যাস। ফলে এখনো দুর্ভোগে রয়েছে চট্টগ্রাম নগরবাসী।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনস কোম্পানি লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার আমিনুর রহমান জানান, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) গভীর রাতে ত্রুটি সারিয়ে কক্সবাজারের এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
সরাসরি জাতীয় গ্রিড থেকে চট্টগ্রাম গ্যাস সরবরাহ হওয়ায় এখনো চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তাছাড়া শুরুতেই পূর্ণ চাপে সরবরাহ দেওয়া হয়নি ফলে সব এলাকায় এখনো গ্যাস পৌঁছেনি। তবে আজ শনিবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন।
চট্টগ্রামের জামালখান এলাকার বাসিন্দা করবী দাশ জানান, গতকাল শুক্রবার থেকে গ্যাস নেই। আজ শনিবারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বাসায় রান্নার চুলো জ্বলছে না। বাইরে থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে।
চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকার একটি সিএনজি স্টেশনে অপেক্ষমান আসাদ নামের এক সিএনজি অটোচালক জানান, সকাল ৮টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি দুপুর ১২টা পর্যন্ত গ্যাস পাইনি। আদৌ গ্যাস পাবো কি-না জানি না। রহমত উল্লাহ নামক অপর এক সিএনজি অটোচালক জানান, গ্যাসের জন্য গাড়ি চালাতে পারছি না। আয় নেই। কিন্তু গাড়ির মালিককে পুরো টাকাটাই দিতে হবে। এই অবস্থায় আমরা চরম অসহায় বোধ করছি।
জানা যায়, চট্টগ্রামের গ্যাসের চাহিদা পূরণ হয় আমদানিকৃত গ্যাস দিয়েই। সরবরাহ হয় কক্সবাজারের এলএনজি টার্মিনাল থেকে। এই টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে চট্টগ্রামে বাসাবাড়ি, শিল্প কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর ত্রুটি সারিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে প্রতিদিন গড়ে ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট (সিএফটি) গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া যায় ২৯০ সিএফটি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ