জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্ত এবং মাদকদ্রব্য চিহ্নিত করতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে যুক্ত হয়েছে ডগ স্কোয়াড। এতে নয়টি কুকুর রয়েছে। যার মধ্যে পাঁচটি বিস্ফোরক দ্রব্য এবং চারটি মাদকদ্রব্য শনাক্ত করতে পারে। একইসঙ্গে, ডগ স্কোয়াড পরিচালনার জন্য ২৭ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। যারা নেদারল্যান্ড ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নগরের মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্সে আনুষ্ঠানিক মহড়ার মধ্য দিয়ে এই স্কোয়াডের উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
এ সময় সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে নতুন এই স্কোয়াডের চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। ডগ স্কোয়াড সংযোজনের মাধ্যমে সিএমপির অপরাধ দমন সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেল।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গঠন হয়। এরপর থেকে এ ইউনিটের সোয়াট, বিডিইউ, সাইবার ও ইন্টেলিজেন্স টিম মহানগরের জঙ্গি, বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়করণ, সাইবার ও ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। সম্প্রতি যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশেষ কৌশলে সংঘটিত অপরাধ মোকাবিলায় একটি পূর্ণাঙ্গ ডগ স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে।
সিএমপির মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনে ডগ স্কোয়াডের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০টি ক্যানেল সমৃদ্ধ একটি আধুনিক দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে ডগের পরিচর্যা কেন্দ্র, গ্রুমিং স্পেস, রান্না ঘর, শাওয়ারের ব্যবস্থা এবং নিয়মিত প্রশিক্ষণের জন্য উন্মুক্ত মাঠ ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কাঠামো। ভবনটিতে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ