ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল (৩২) ও কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশ (৪৩) সহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এসময় তাদের কাছ থেকে নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে ছাপানো ৫০ হাজার লিফলেট, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, তাজা বোমা, গান পাউডারসহ নাশকতায় ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ডিবি।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নির্দেশনা এবং নেতৃত্বে গ্রেপ্তাররা বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজ ও নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করছিল।
হারুন অর রশীদ বলেন, নির্বাচন বানচালের চেষ্টার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল এবং কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর কাঁটাবনে প্রাইম প্রিন্টার্সে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজারের বেশি লিফলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখান থেকে আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবিপ্রধান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে নাশকতার উদ্দেশে এসব লিফলেট ও গান পাউডার মজুত করেছিলেন তারা।
তিনি বলেন, এসব গান পাউডার দিয়ে ২০০টির বেশি ককটেল বানানো যেত। ৭ জানুয়ারি কেউ যেন ভোট দিতে না যায়, সেসব তথ্য প্রচার করা হচ্ছিল লিফলেটে। তারা রাষ্ট্রবিরোধী, সংবিধান, দেশবিরোধী কাজ করেছে। নাশকতার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ