নাশকতার পৃথক তিন মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১২১ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার পৃথক তিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রায় দেন।
তুরাগ থানার মামলা: ৫ বছর আগে তুরাগ থানায় নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ৯৩ নেতাকর্মীকে পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শেখ সাদীর আদালত।
দণ্ডিতদের মধ্যে রয়েছেন- আব্দুর রশিদ, আলম মিয়া, কামাল হোসেন, মোজাম্মেল, নুরুল ইসলাম, সুরুজ মিয়া, বোরহান উদ্দিন মনু, হালিম, বারী হুজুর, শাহ আলম, বাদশা, নেছার আহামেদ টুটুল, আবু বক্কা সিদ্দিক, বশীর, আমির, কবির হোসেন, খলিলুর রহমান, জলিল মিয়া, সরোয়ার হোসেন, দুলাল মিয়া প্রমুখ।
এক ধারায় তাদের ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক ধারায় আড়াই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাশতার অভিযোগে রাজধানীর তুরাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
রামপুরা থানার মামলা: ৫ বছর আগে রামপুরা থানায় দায়ের করা নাশকতার এক মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৩ জনকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আব্দুল কাদের, ডা. খান মতিউর রহমান, লোকমান খান, জহিরুল ইসলাম, মাইনউদ্দিন, আহসান হাবিব, হাফেজ আব্দুল কাইউম ভাই, ইকবাল কবির নিপু, সাখাওয়াত হোসেন রিফাত, মিজানুর রহমান গালিব ওরফে গালিব হাসান ওরফে চৌধুরী ইভান, আজিজুল্লাহ ভূঁইয়া, সালেহ আহমেদ ও লুৎফর রহমান।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের রাজধানীর রামপুরা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বংশাল থানার মামলা: ১০ বছর আগে রাজধানীর বংশাল থানায় নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ৬১ নেতাকর্মীর মধ্যে ১৫ জনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪৬ জন খালাস পেয়েছেন।
দণ্ডিতদের মধ্যে রয়েছেন- মোহন, তাইজুদ্দিন ওরফে লম্বা তাইজু, শাহজাহান, মাসুম ওরফে মাওয়া, ডলার ইকবাল, ইয়াকুব সরকার, মো. আদিল, মীর মোহাম্মাদ আলী প্রমুখ।
২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে বেআইনি সমাবেশ, হত্যার চেষ্টা, নাশকতার অভিযোগ মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ