প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়ির এখানে-ওখানে জ্বলে ওঠে আগুন। আবার নিভেও যায়। আগুন জেনো এভাবে আর না জ্বলে সেজন্য কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া-দরুদ পাঠ এমনকি গরু জবাই করে মানুষ খাইয়েও মিলছে না পরিত্রাণ। ফায়ার সার্ভিসও আগুনের সূত্রপাত নির্ণয় করতে না পাড়ায় উদ্বেগ বেড়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের শাহাদাত হোসেনের (৭৫) বাড়িতে গেলে এসব তথ্য জানা যায়।
শাহাদাত হোসেন বলেন, গত কয়েকমাস ধরে হঠাৎ করেই দিনে দুপুরে বাড়ির ঘরগুলোতে আগুন লাগছে, আবার নিভেও যাচ্ছে। অনেক সময় বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নেভাচ্ছেন।
তার কথার সত্যতা যাচাইয়ে বাড়ির কয়েকটি ঘর ঘুরে দেখেন এই প্রতিবেদক। এসময় আগুন লাগার চিহ্ন দেখা যায় বাড়ির পর্দা, রান্না ঘরের চাল, ফ্রিজে, আসবাবপত্র, জামাকাপড় এমনকি পড়নে থাকা পোশাকেও।
বিষয়টি জ্বীন, ভূতের আছর ভেবে গরু জবাই করে আল্লাহর নামে এলাকার লোকদের খাইয়েও পরিত্রাণ খুঁজে পাচ্ছেন না বলে দাবি করেন শাহাদাত। আজব এই ঘটনার বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় দোকানদার জাকির হোসেন, শাহাবুদ্দিন, মনির হোসেন, মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. লিয়াকত হোসেনের সঙ্গে।
তারা বলেন, অজানা এ আগুন রাতে কখনো দেখেনি গ্রামবাসী। এমনকি গ্রামের এই বাড়ি বাদে অন্য কোথাও আগুন লাগছে না। দিনে দুপুরে আগুন লাগার বিষয়টি তাই অলৌকিক মনে হচ্ছে সবার কাছে। দাবি করেন, অভিশাপ কিংবা জ্বীনের আছরে আগুন লাগতে পারে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার কামরুল হাসান বলেন, বাড়িটির মালামাল যেখানে রাখা হয়, সেখানে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুনের সূত্রপাত নির্ণয় করা যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ