ডিএলএস পদ্ধতিতে ৩০ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ২৪৫ রান। ৯ উইকেটে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে ২০০ রান। ইনিংসের শেষ বলে বোল্ড হয়েছেন হাসান মাহমুদ, অভিষেকে উইকেটের দেখা পেয়েছেন উইলিয়াম ও’রর্ক।
ম্যাচ শুরুর আগেই প্রথম ওয়ানডে নেমে এসেছিল ৪৬ ওভারে। এরপর ৪০, এরপর ৩০ ওভারে। ৬০ ওভার খেলাশেষে ফিরে তাকালে এখন বলাই যায়—আদতে বাংলাদেশ লড়াই থেকে ছিটকে গেছে প্রথম ওভারের পরই! যে ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে স্মরণীয় এক দিনের আভাস দিয়েছিলেন শরীফুল ইসলাম। কিন্তু টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াংয়ের জুটি, ল্যাথামের ৯০ ও ইয়াংয়ের ১০০-পেরোনো ইনিংস, এ দুজনের সঙ্গে মার্ক চ্যাপম্যানের শেষের ঝড়ে বাংলাদেশকে কঠিন সমীকরণের সামনে ফেলে দেয় নিউজিল্যান্ড। স্বীকৃত পঞ্চম বোলার ছাড়াই খেলতে নামার সিদ্ধান্তও বাংলাদেশের জন্য হয়ে গেছে বুমেরাং।
সে সমীকরণ মেলাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। লম্বা ব্যাটিং লাইন আপ হলেও ঠিক পরিকল্পনার ছাপ ছিল না তাতে। এনামুল হক, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন বা শেষে এসে মেহেদী হাসান মিরাজের ইনিংস তাই পার্থক্য গড়তে পারেনি কোনো। ইনিংসে একটিই ৫০-পেরোনো জুটি, সেটিও এসেছে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে। ততক্ষণে সমীকরণ হয়ে উঠেছে আরও কঠিন।
এবারের নিউজিল্যান্ড সফরও তাই শুরু হলো হার দিয়ে। নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে সাদা বলে হারানোর অপেক্ষাও বাড়ল আরেকটু। অন্যদিকে টিকে থাকল ডানেডিনে সব সংস্করণ মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএন