প্রকৃতিতে এখন অগ্রহায়ণ মাস। ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে। কৃষকের গোলায় উঠেছে নতুন ধান। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে পিঠু-পুলির উৎসব।
চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় ৮৮ হাজার ৯১৯ হেক্টরে জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ হয়েছে। এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫৫১ মেট্রিক টন চাল। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। তবে সার, কীটনাশক ও তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলে কমেছে লাভের অংক।
কৃষকরা বলছেন, প্রতি বিঘা জমিতে ৮ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন হচ্ছে বিঘা প্রতি ১৭ মন থেকে ২০ মন। কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি।
কৃষক জিনারুল ইসলাম বলেন, ক্রপ কাটিং মেশিন দিয়ে ধান কাটা ও মড়াইয়ে খরচ কম হলেও ধানক্ষেতে ক্ষতিকর তামাক গাছ রোপণ করায় এ মৌসুমে ক্রপ কাটিং মেশিনের ব্যবহার কমেছে।
কৃষকদের মাঝে উন্নতজাতের ধানের বীজ সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা প্রদান করায় কৃষকরা লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ।
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হলে উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ