চতুর্থ দিনে খেলতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। কিন্তু অপরপ্রান্ত ধরে রেখেছেন ওপেনিংয়ে নামা জাকির হাসান। অবশেষে চাপের মুখে থেকেও দুর্দান্ত ফিফটি হাঁকিয়েছেন এই টাইগার ব্যাটার।
নাজমুল হোসেন শান্ত, মুুুুুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম ও নাঈম হাসানের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি করে অর্ধশতকের মাইলফলকে পৌঁছে যান জাকির। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় ফিফটি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩২ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান। জাকির হাসান ৫৮ রানে অপরাজিত আর তাইজুল ইসলাম খেলছেন ৮ রান নিয়ে।
চতুর্থ দিনটি ভালোই শুরু করলেও অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। এর তো খেই হারিয়ে বসে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মাঠে নেমে মুমিনুল হক ও জাকির হাসানের ৩৩ রানের জুটি দলকে কিছুটা এগিয়ে দিয়েছিল। অ্যাজাজ প্যাটেলের এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে মুমিনুল (১৯ বলে ১০) ফেরার পর একে একে উইকেট বিলিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন দিপু ও মেহেদী হাসান মিরাজ ও নুরুল হাসান সোহান।
প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফলে অল্প রানেই গুটিয়ে শঙ্কায় পড়েছে টাইগাররা।
ব্যাট করতে নেমে পিচে সেটই হতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। খেলেন মাত্র ১২ বল। ৯ রান তুলে মিচেল স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে স্লিপে থাকা ড্যারিল মিচেলের হাতে ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। এরপর স্যান্টনারের দ্বিতীয় শিকার হন শাহাদাত। ১১ বলে ৪ রান করে এলবিডব্লিউ হন এই ডানহাতি।
ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ মিরাজও। মাত্র ৩ রান করে অ্যাজাজের বলে ক্যাচ তুলে দেন এই ডানহাতি ব্যাটার। নুরুল হাসান সোহান বরাবরের মতোই ব্যর্থ। এদিন তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ডাক মেরে অ্যাজাজের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৭২ রানের জবাবে ৮ রানের লিড নিয়ে ১৮০ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে জবাব দিতে নেমে ২ উইকেটে ৩৮ রান তোলে বাংলাদেশ। আলোক স্বল্পতার কারণে আগেভাগেই শেষ হয়ে যায় তৃতীয় দিনের খেলা।
৮ রানের লিডে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দলীয় ৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন মাহমুুদুল হাসান জয় (২ বলে ২)। এরপর ৩৮ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট বিলিয়ে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৪ বলে ১৫ রান করেন এই বাঁহাতি।
এর আগে বৃষ্টির কারণে দেড় দিন পর ৫৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করতে মাঠে নেমে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের সামনে বড় লিড দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছিলেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। মিচেলকে বেশিদূর এগোতে দেয়নি বাংলাদেশ।
গ্লেন ফিলিপস অবশ্য দারুণ লড়েছেন। অবশেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ রানের লিড দিয়ে ফেরত যান এই কিউই ব্যাটার। তার ফেরত যাওয়ার পর আর কোনো রান যোগ না করে ১৮০ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। সেঞ্চুরির পথে হাঁটা ফিলিপসকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের ফুল লেন্থের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ হন তিনি। ৭২ বলে ৮৭ রান করেন তিনি।
এর আগে মিচেলকে আউট করে কিউইদের ৬০ বলে ৪৯ রানের জুটি ভাঙেন অফস্পিনার নাঈম হাসান। ২১তম ওভারে নাঈমকে লং অন অঞ্চলে আকাশে তুলে মারেন মিচেল। মিড অফ অঞ্চল থেকে দৌড়ে এসে ৩৯ বলে ১৮ করা মিচেলকে দুর্দান্ত ক্যাচ বানান মেহেদী হাসান মিরাজ।
এরপর ব্যাক টু ব্যাক বল করতে এসে মিচেল স্যান্টনারকে ফেরালেন নাঈম। ব্যাটের কানায় বল লাগিয়ে প্রথম স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন হাতের ধরা পড়েন স্যান্টনার। ৭ বলে ১ রান করেন এই কিউই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১৮০ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ