হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে অসময়ে মালচিং ও মিনি মাচা পদ্ধতিতে ব্ল্যাক সুইট-২ ও ড্রাগন কিং জাতের বারোমাসি তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন দুই কৃষক।
এই দুই কৃষক উপজেলার নছরতপুরে প্রায় ৪২ বিঘা পতিত জমি আবাদ করে প্রায় ৭ লাখ টাকা খরচ করে ১৭ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেন। খরচ বাদ দিয়ে তাদের ১০ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। বাকী সময়ে আরও লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা করছেন। রোপণের প্রায় ৭০ দিনের মধ্যে গাছ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়।
সরেজমিন গিয়ে কথা বলে জানা গেছে, জেলার মাধবপুরের চৌমুহনী এলাকার কৃষক ইয়াকুব আলী ও ফয়েজ মিয়া মিলে শিল্প কারখানা নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট করে রাখা পতিত জমি লিজ নিয়ে আবাদ করেন। তারা প্রথম দফা তরমুজ চাষ করে তেমন একটা সাফল্য পাননি। পরে ২য় দফায় বারোমাসি তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন।
কৃষক ইয়াকুব আলী ও ফয়েজ মিয়া জানান, তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করছেন। এতে তারা লাভবান। সেই সাথে তাদের চাষ দেখে অন্যান্য কৃষকরাও উৎসাহিত হয়ে তরমুজ চাষ করছেন।
তারা জানান, মালচিং ও মাচা পদ্ধতিতে আড়াই থেকে তিন মাস মেয়াদী বারোমাসি এই তরমুজ চাষ করা হচ্ছে। চাষকৃত তরমুজগুলো ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়।
কৃষি বিভাগ জানায়, ব্ল্যাক সুইট-২ ও ড্রাগন কিং জাতের এই তরমুজ রোগ সহিঞ্চু। মালচিং পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে জমিতে আগাছা কম হয়। এর ফলে চাষাবাদে খরচ অনেকটা কম হচ্ছে। উচু ও ঢালু জমিতে এ জাতের তরমুজ ভালো হয়। ব্ল্যাক জাতের একেকটি তরমুজের ওজন দেড় থেকে তিন কেজি পর্যন্ত হয়।
আর ড্রাগন কিং জাতের একেকটি তরমুজের ওজন হয় ৮ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত। পাইকারিভাবে প্রতিকেজি তরমুজ ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি তরমুজ ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভের জন্য ব্ল্যাক সুইট-২ ও ড্রাগন কিং জাতের তরমুজ চাষ খুবই উপযোগী। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকরা তরমুজ চাষ করে লাভবান হতে পারছেন। এ তরমুজ খুবই সুস্বাদু। বছরের এই সময় বাজারে কোন তরমুজ না থাকায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ