রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শেয়ারবাজারে সপ্তাহজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ইসলামী ব্যাংক ঢাকার খাল দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য রাষ্ট্রকে অনন্য উচ্চতা দিয়েছে: আ স ম রব স্বৈরাচারের সহযোগী দলগুলোকে ১০ বছর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিৎ জনগণের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করছি: ডিএমপি কমিশনার ইউক্রেনে মেডিকেল সেন্টারে রাশিয়ার হামলা, নিহত ৬ পাবনায় পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরাল্লাহকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন দ্বিতীয় দিন একটি বলও মাঠে গড়ালো না প্রশাসনে আ. লীগের দোসরদের রেখে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয় : রিজভী ঢাকায় একদিনে ট্রাফিক আইনে ৬৩৩ মামলা, জরিমানা ২৩ লাখ বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া দুই ভারতীয় আটক পুলিশে ৩৬০০ কনস্টেবল নিয়োগ, আবেদন শুরু ১ অক্টোবর বিদেশি বিনিয়োগ টানতে উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির পরামর্শ আত্মসমর্পণ করবেন মাহমুদুর রহমান, যেতে হতে পারে কারাগারে ‘অজনা কারণে’ পেশাগত সনদ পাননি ৩ হাজারেরও বেশি নার্স চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে আজও আমার কথা বলে চাঁদা-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে পুলিশে দিন

অসময়ে তরমুজ চাষে লাভবান কৃষক ইয়াকুব ও ফয়েজ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে অসময়ে মালচিং ও মিনি মাচা পদ্ধতিতে ব্ল্যাক সুইট-২ ও ড্রাগন কিং জাতের বারোমাসি তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন দুই কৃষক। 

এই দুই কৃষক উপজেলার নছরতপুরে প্রায় ৪২ বিঘা পতিত জমি আবাদ করে প্রায় ৭ লাখ টাকা খরচ করে ১৭ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেন। খরচ বাদ দিয়ে তাদের ১০ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। বাকী সময়ে আরও লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা করছেন। রোপণের প্রায় ৭০ দিনের মধ্যে গাছ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়।

সরেজমিন গিয়ে কথা বলে জানা গেছে, জেলার মাধবপুরের চৌমুহনী এলাকার কৃষক ইয়াকুব আলী ও ফয়েজ মিয়া মিলে শিল্প কারখানা নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট করে রাখা পতিত জমি লিজ নিয়ে আবাদ করেন। তারা প্রথম দফা তরমুজ চাষ করে তেমন একটা সাফল্য পাননি। পরে ২য় দফায় বারোমাসি তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন।

কৃষক ইয়াকুব আলী ও ফয়েজ মিয়া জানান, তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করছেন। এতে তারা লাভবান। সেই সাথে তাদের চাষ দেখে অন্যান্য কৃষকরাও উৎসাহিত হয়ে তরমুজ চাষ করছেন। 

তারা জানান, মালচিং ও মাচা পদ্ধতিতে আড়াই থেকে তিন মাস মেয়াদী বারোমাসি এই তরমুজ চাষ করা হচ্ছে। চাষকৃত তরমুজগুলো ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়।

কৃষি বিভাগ জানায়, ব্ল্যাক সুইট-২ ও ড্রাগন কিং জাতের এই তরমুজ রোগ সহিঞ্চু। মালচিং পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে জমিতে আগাছা কম হয়। এর ফলে চাষাবাদে খরচ অনেকটা কম হচ্ছে। উচু ও ঢালু জমিতে এ জাতের তরমুজ ভালো হয়। ব্ল্যাক জাতের একেকটি তরমুজের ওজন দেড় থেকে তিন কেজি পর্যন্ত হয়।

আর ড্রাগন কিং জাতের একেকটি তরমুজের ওজন হয় ৮ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত। পাইকারিভাবে প্রতিকেজি তরমুজ ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি তরমুজ ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভের জন্য ব্ল্যাক সুইট-২ ও ড্রাগন কিং জাতের তরমুজ চাষ খুবই উপযোগী। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকরা তরমুজ চাষ করে লাভবান হতে পারছেন। এ তরমুজ খুবই সুস্বাদু। বছরের এই সময় বাজারে কোন তরমুজ না থাকায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com