উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বরাবরই শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। এবারও এই জনপদে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। গত কয়েক দিনে পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে ১৪ ডিগ্রির ঘরে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পঞ্চগড়ে ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এদিন দিনাজপুর এবং নওগাঁর বদলগাছিতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের দাপট বাড়ায় বাজারে গরম পোশাক বিক্রি বেড়েছে। অনেকেই তৈরি করছে নতুন লেপ-তোশক। ফলে লেপ-তোশক তৈরি কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেলা গড়াতেই ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করে। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের পারদ নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত অনুভূত হয় শীত। দিনেও আগের মতো গরম নেই।
এদিকে, দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসা নিতে ভীর বাড়ছে। এরমধ্যে, বেশির ভাগই শিশু।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, পঞ্চগড় জেলা হিমালয় পর্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় এখানে শীতের আগমন ঘটে আগে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে, এ বছর এখন পর্যন্ত জেলায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামেনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ