সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় নিজের পক্ষে নিজেই সাফাই সাক্ষ্য দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এদিন ঢাকা ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেলও তার পক্ষে সাক্ষ্য দেন।
রোববার (১২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেলের সাক্ষ্য শেষ হয়। তবে মির্জা আব্বাসের সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আদালত আগামী ১৫ নভেম্বর সাফাই সাক্ষ্যের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
৮ নভেম্বর অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউনন্টেট নুরুল হোসেন খান মির্জা আব্বাসের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতে উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর মামলাটি সাফাই সাক্ষ্যের জন্য ছিল। কিন্তু ওইদিন মির্জা আব্বাস আদালতে হাজির হননি। কোনও সাফাই সাক্ষীও আদালতে উপস্থিত হননি। আদালত জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে শাহজাহানপুর থানার একটি নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ