আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মহাসমাবেশের অনুমতি পাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর নাইটিঙ্গেল মোড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মহাসমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়েছে। আমার ধারণা তারা অনুমতি পাবে। তবে স্থানের বিষয়ে এখনও বলা যাচ্ছে না। স্থানের বিষয়টি খুব দ্রুতই জানিয়ে দেওয়া হবে তাদের।’
তিনি বলেন, ‘সমাবেশকে ঘিরে লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। এ কারণে আমরা ডিবির একাধিক টিম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখছি। ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের টহল টিম কাজ করছে।’
জামায়েত ইসলামী যদি সমাবেশ করে তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন যদি না থাকে, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সমাবেশের কথা বললেই তাদেরকে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। কাকে কোথায় দিতে হবে সেটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখবেন। ঢাকা শহরের নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।’
নাশকতার কোনও আশংকা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় ঢুকবে, এরমধ্যে তৃতীয় কোনও পক্ষ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। এজন্য আমাদের টহল পার্টি জোরদার আছে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করা হচ্ছে।’
ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে হারুন বলেন, ‘এটি আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। আগামীকাল মহাসমাবেশ বলে মনে হচ্ছে অ্যারেস্ট হচ্ছে। তবে তা নয়, সবসময়ই এ ধরনের অ্যারেস্ট হয়। যার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে তাকে আমরা আজও গ্রেফতার করবো, কালও করবো, ভবিষ্যতেও করবো।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি