রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দুই নারী কর্মকর্তাকে কুপিয়ে সোনালী ব্যাংকের ৭ লাখ টাকা ছিনতাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের শাসনের বিকল্প নেই ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ঢাকায় গ্রেফতার প্রাণী রক্ষায় আরও মানবিক হতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা রূপালী ব্যাংকে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮৪তম সভা অনুষ্ঠিত সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার মারা গেছেন রেললাইনে উঠে গেছে তিস্তার পানি, দুর্ভোগ চরমে: লালমনিরহাট ধর্ষণ মামলায় আসামি হলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ টি-টোয়েন্টিতে নতুন মুখ ২টি, ফিরলেন মিরাজ চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত সমবায় ব্যাংকের লকার থেকে ১২ হাজার ভরি সোনা গায়েব গত ২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৮ নেতানিয়াহুর ওপর হামলা, ইসরাইলজুড়ে বিমান পরিবহন বন্ধ ঘোষণা ৪০ লাখ শ্রমিক পাবে টিসিবির পণ্য, ১ অক্টোবর থেকে বিতরণ তারুণ্যের সামনে স্বৈরাচারের দানবীয় শক্তি খড়কুটোর মত ভেসে যায়: জিএম কাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা আসিফ পলিথিন বর্জনের কার্যক্রম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে আমরা আগস্ট বিপ্লবের প্রতিফলন দেখতে চাই: মেজর হাফিজ

ঘুষ সংক্রান্ত অডিওটি চারঘাটের ওসি মাহবুবুলেরই: এসপি

রাজশাহী প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর এসপি সাইদুর রহমান জানান, সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন তিনি পেয়েছেন। এটা ওসিরই কথোপকথন ছিল। এই তদন্ত প্রতিবেদন রাজশাহীর ডিআইজিকে দিয়েছেন। যেহেতু অফিসারদের ক্ষেত্রে পুলিশ সদরদপ্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাই তিনি এটি সেখানে পাঠাবেন। তারা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

রাজশাহীর চারঘাট মডেল থানার সাবেক ওসি মাহবুবুল আলমের ঘুষ চাওয়ার সত্যতা মিলেছে। গত মাসে তার ঘুষ চাওয়ার একটি অডিও ফাঁস হওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডটি ওসি মাহবুবুল আলমের।

রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুর রহমান জানান, ওই অডিও রেকর্ডটি যে মাহবুবুল আলমেরই, এটি তারা নিশ্চিত হয়েছেন। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পুলিশ সদরদপ্তরে পাঠানো হবে।

গত মাসে রাজশাহীর চারঘাট থানার সাবেক ওসি মাহবুবুল আলমের ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে।

রাজশাহীর এসপি সাইদুর জানান, সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন তিনি পেয়েছেন। এটা ওসিরই কথোপকথন ছিল। এ তদন্ত প্রতিবেদন রাজশাহীর উপমহাপরিদর্শককে (ডিআইজি) দিয়েছেন। যেহেতু অফিসারদের ক্ষেত্রে পুলিশ সদরদপ্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাই তিনি এটি সেখানে পাঠাবেন। তারা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ওসি মাহবুবুল আলমের নামে এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন সাহারা খাতুন নামের এক নারী। ঘুষ চাওয়ার ছয় মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের কথোপকথনের একটি রেকর্ডও সংযুক্ত করেন তিনি। ওই দিন সন্ধ্যার পর থেকে অডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ওসি মাহবুবুলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। পরদিনই অডিও রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিতে একটি তদন্ত কমিটি করে দেন এসপি।

সাহারা খাতুন চারঘাট থানার চামটা গ্রামের আব্দুল আলিম কালুর স্ত্রী। কালু মাদক মামলায় কারাগারে আছেন।

পুলিশের কাছে দেয়া অভিযোগে ওই নারী উল্লেখ করেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর তাকেসহ তার ছেলে রাব্বিকে চারঘাট থানার ওসি নিজের কক্ষে ডেকে নেন। এরপর তাদের কাছ থেকে ওসি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়ার পাশাপাশি অর্থ দাবি করেন।

ফাঁস হওয়া ওই অডিও রেকর্ডে ওসি মাহবুবুল আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘মন্ত্রী আমাকে গাইবান্ধা থেকে এখানে নিয়ে এসেছেন। আমি তার কথা ছাড়া কারও কথা শুনি না।’

চারঘাট এলাকায় গিয়ে মাদক কারবারিদের ধরে মামলা দেয়ার কারণে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসির সমালোচনা করেন তিনি। এরপর বলেন, ‘দুই লাখ টাকা দেন, কালকেই ডিবির ওসিকে বদলি করে দেব।’

সাহারা বেগমের উদ্দেশে ওসি মাহবুবুল বলেন, ‘আপনার স্বামী আমার অনেক ক্ষতি করে গেছে (ওসির বিরুদ্ধে এসপি অফিসে অভিযোগ করেছিলেন)। এবার আপনার পরিবারের কাউকে ধরলে ১০ লাখ টাকার কমে ছাড়াতে পারব না।’

এরপর ওসি বলেন, ‘এখনও তোমার গায়ে আঁচড় দেইনি। বহুত ফাঁকি দিয়েছো। কালকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে আসবা। এখন সে রকম সময় নয় যে, কেউ পয়সা খায় না। সবাই পয়সা খাচ্ছে। এমন কেউ বাদ নেই যে, পয়সা খাচ্ছে না। পুরো জেলা পয়সা খাচ্ছে। এখানে আমার থানা চালাতে মাসিক অনেক টাকা লাগছে।

‘আমি স্যারকে কথা দিয়ে এসেছি। স্যারকে বলেছি, এখানে মাদক ছাড়া কিছু নেই। মুক্তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে পারবে না, শুভর বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে পারবে না। তোমরা পাঁচ লাখ টাকা দিতে পারবা? ধরে ওদের চালান দিয়ে দেব। থাকি না থাকি ওদের সাইজ করব। তোমরা বাইরে থেকে ব্যবসা (মাদক কারবার) করবে।’

রাজশাহী জেলা ডিবির ওসি আতিকুর রেজা সরকার আতিকেরও সমালোচনা করেন ওসি মাহবুবুল।

তিনি বলেন, ‘যদি আতিকের বদলি চাও, দুই লাখ টাকা দাও। কালকেই আতিকের বদলি হয়ে যাবে।’

ওসিকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘পাঁচ লাখ আর দুই লাখ, সাত লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করো। আতিক বাদ, ওই দুইজনকে (মুক্তা ও শুভ) ট্যাকেল দেয়ার দায়িত্ব আমার।

‘নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরে মন্ত্রীকে বলে ওই দুইজনকে ধরে অ্যারেস্ট করে চালান করে দেব। আমার সব ওপরের লাইন। যে টাকা দিবা, এই টাকাই ওপরে কাজ করবে।’

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com