সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দুই নারী কর্মকর্তাকে কুপিয়ে সোনালী ব্যাংকের ৭ লাখ টাকা ছিনতাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের শাসনের বিকল্প নেই ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ঢাকায় গ্রেফতার প্রাণী রক্ষায় আরও মানবিক হতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা রূপালী ব্যাংকে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮৪তম সভা অনুষ্ঠিত সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার মারা গেছেন রেললাইনে উঠে গেছে তিস্তার পানি, দুর্ভোগ চরমে: লালমনিরহাট ধর্ষণ মামলায় আসামি হলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ টি-টোয়েন্টিতে নতুন মুখ ২টি, ফিরলেন মিরাজ চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত সমবায় ব্যাংকের লকার থেকে ১২ হাজার ভরি সোনা গায়েব গত ২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৮ নেতানিয়াহুর ওপর হামলা, ইসরাইলজুড়ে বিমান পরিবহন বন্ধ ঘোষণা ৪০ লাখ শ্রমিক পাবে টিসিবির পণ্য, ১ অক্টোবর থেকে বিতরণ তারুণ্যের সামনে স্বৈরাচারের দানবীয় শক্তি খড়কুটোর মত ভেসে যায়: জিএম কাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা আসিফ পলিথিন বর্জনের কার্যক্রম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে আমরা আগস্ট বিপ্লবের প্রতিফলন দেখতে চাই: মেজর হাফিজ

৬৯ লাখ টাকার সেতুতে মই বেয়ে ওঠে ৫ গ্রামের মানুষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ৬৯ লাখ টাকার নির্মিত সেতুতে উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো বেয়ে। সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। নির্মাণের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫ মাস পেরিয়ে গেলেও হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ইটাপোতা বিলের ওপর নির্মিত ওই সেতুটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের বছর পার হয়ে গেলেও দুইপাশে মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ইটাপোতা বিলের ওপর ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থের একটি সেতু নির্মাণের বরাদ্দ দেয়। সেতুটির নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শেষ হয়। ওই মাসেই সেতুটি হস্তান্তর করার চুক্তি ছিল ঠিকাদারের সঙ্গে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি এখনো হস্তান্তর করেননি ঠিকাদার লিটন ইসলাম। কিন্তু এরইমধ্যে ঠিকাদারকে ৮০ শতাংশ বিল দেওয়া হয়েছে।

এ অবস্থায় বাঁশ দিয়ে বানানো মই দিয়ে সেতু পার হওয়ার ব্যবস্থা করেছে এলাকাবাসী। সেটিও ভেঙে গিয়ে এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। এই সেতুর ওপর দিয়ে ইটাপোতা, বনগ্রাম, ছড়ারপার, খারুয়া ও বুমকা গ্রামের মানুষ প্রায় ১৫ হাজার মানুষ চলাচল করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, তারা আগে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতেন সেটিই ভালো ছিল। কিন্তু নির্মিত সেতুটি এখন তাদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় সাহারা বেগম বলেন, ব্রিজ হয়ে গেছে কিন্তু দুই ধারে মাটি নেই। পানিতে ভিজে পার হতে হয়। আমাদের কষ্টের শেষ নাই। দুই ধারে মাটি দিলে আমাদের আর কোনো সমস্যা হতো না। বাচ্চাদের নিয়ে খুব ঝুঁকিতে পারাপার হচ্ছি।

মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, উপজেলার মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে ওই সেতু সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। পানি শুকালেই মাটি ফেলে রাস্তার কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করা হবে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, কয়েক দফা বন্যা হওয়ায় ওই ব্রিজের পাশ থেকে মাটি ধসে গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামান এন্টারপ্রাইজ ব্রিজের দুইপাশে মাটি ভরাট এবং পাইলিংয়ের কাজ করছে। বর্তমানে মাটি ভরাটের কাজ চলমান আছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com