সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মুশফিকের বিদায়ের পর মুমিনুলের ফিফটি ডা. জোবাইদা রহমানের সাজা এক বছর স্থগিত কন্যাশিশুদের চোখে দেখতে হবে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আজকের কন্যাশিশুর মধ্যেই সুপ্তভাবে বিরাজ করছে আগামী দিনের আদর্শ মা ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মনসুর ডিবি হেফাজতে দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ড. ইউনূসের দুই নারী কর্মকর্তাকে কুপিয়ে সোনালী ব্যাংকের ৭ লাখ টাকা ছিনতাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের শাসনের বিকল্প নেই ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ঢাকায় গ্রেফতার প্রাণী রক্ষায় আরও মানবিক হতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা রূপালী ব্যাংকে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮৪তম সভা অনুষ্ঠিত সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার মারা গেছেন রেললাইনে উঠে গেছে তিস্তার পানি, দুর্ভোগ চরমে: লালমনিরহাট ধর্ষণ মামলায় আসামি হলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ টি-টোয়েন্টিতে নতুন মুখ ২টি, ফিরলেন মিরাজ চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত সমবায় ব্যাংকের লকার থেকে ১২ হাজার ভরি সোনা গায়েব গত ২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৮

কাঁটাতারের এপারে বাবার মরদেহ, দেখতে পারলেন না ওপারের সন্তানরা

মেহেরপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রবীন দফাদার। তবে তার দুই সন্তান বসবাস করেন ভারতে। শেষবারের মতো তাদের বাবার মুখ দেখাতে সীমান্তের এপারে কাঁটাতারের কাছে মরদেহ নিয়ে যান স্বজনরা। আর ওপারে অপেক্ষা করেন তার সন্তানরা। কিন্তু অপেক্ষা বাড়লেও বিএসএফ অনুমতি না দেওয়ায় আর বাবার দেখা পেলেন না তারা। দুই সন্তানকেই ফিরতে হয় বুকভরা কষ্ট নিয়ে।

ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মেহেরপুরের মুজিবনগর স্বাধীনতা সড়ক সীমান্তের। বীর মুক্তিযোদ্ধা রবীন দফাদার মুজিবনগর উপজেলার ভবের পাড়ার বাসিন্দা। বুধবার বিকেলে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা যান। তার তিন সন্তান। এদের মধ্যে এক মেয়ে ও দুই ছেলে ভারতে বিয়ে করায় নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে বসবাস করে আসছেন।

দেশে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধার আরেক ছেলে মাইকেল দফাদার বলেন, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ওপারে কাঁটাতারের কাছে অপেক্ষা করতে থাকেন আমার ভাইবোন ও অন্য স্বজনরা। বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি দিলে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি না পাওয়ায় শেষবারের মত বাবার মুখ দেখতে পারলেন না তারা।

তিনি আরও বলেন, এর আগে বাবার জীবিত মুখটা দেখার জন্য বহু চেষ্টা করে দেখা হয়নি ভাইবোনের। মোবাইল ফোনে কথা বলেই শান্তি খুঁজতাম আমরা। মৃত্যুর পর বাবার মুখটা শেষবারের মতো দেখতে পেলে কিছুটা মনকে সান্ত্বনা দিতেন ওপারে থাকা স্বজনরা।

ভবেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জুবের হোসেন বলেন, সীমান্ত গ্রামগুলোতে বসবাসকারীরা বলছেন এমন ঘটনা এ প্রথম। অনেকের আপনজন বাবা মায়ের মৃত্যুর খবর পেলেও সীমান্তের শূন্য রেখায় শেষ দেখার ব্যবস্থা করে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এবার কাঁটাতারের কাছে গিয়েও আকুতি জানিয়ে চোখের জলে ফিরে এসেছে।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সন্তানদের শেষ বারের মতো বাবার মরদেহ সীমান্তের শূন্যরেখায় দেখানোর জন্য বৃহস্পতিবার সকালে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। দুপুরে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানায় অনুমতি না মেলায় দেখানো সম্ভব হচ্ছে না।

সাবেক ইউপি সদস্য দিলীপ মন্ডল বলেন, এখানকার বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার ভারতের হৃদয়পুর বিএসএফের সঙ্গে সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন যোগাযোগের। ছেলে এবং মেয়েকে তার বাবার মরা মুখটা দেখানোর জন্য, কিন্তু সেটা হয়নি। তবে এর আগে এখানকার একটা মেয়ে মারা যায় সেটা দেখানো হয়েছিল।

বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন বলেন, ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। শেষবারের মতো বাবার মরদেহ দেখতে কান্নায় ভেঙে পড়েন কাঁটাতারের ওপারে থাকা সন্তানরা। পরিবারের সদস্যরা অনুরোধ করেন বিজিবিকে। ভারতের হৃদয়পুর বিএসএফের সঙ্গে সাধ্যমত চেষ্টা করেছে বিজিবি। কিন্তু অনুমতি না মেলায় ছেলে এবং মেয়েকে তার বাবার মরদেহ দেখানো যায়নি। এটা অমানবিক ঘটনা।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com