আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। সকালে বনানী কবরস্থানে তার কবরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর নেতৃত্বে এসময় দলটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এসময় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, দল যখন অনেক প্রশ্নের মুখে ছিল তখন দল ও জাতির জন্য একটা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন বেগম সাজেদা চৌধুরী। দুর্দিনে আওয়ামী লীগের হাল ধরে রেখেছিলেন। দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর যে আন্দোলন সংগ্রাম আমরা শুরু করি মূলত সাজেদা চৌধুরী আমাদেরকে সেই সময় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য তিনি এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন।
তিনি বলেন, ১/১১ এর সময় যখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একটা দুঃসময় আসে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা যখন কারাগারে ছিলেন ঠিক সেই সময়ও ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের এক সভায় কঠোর মনোভাব নিয়ে সেদিন তিনি বলেছিলেন,আজ শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে যদি কোনো নির্বাচন করার পাঁয়তারা হয়, ষড়যন্ত্র হয়, বাংলার মানুষ কখনো মেনে নেবে না।
তার এই কথার মধ্য দিয়ে সেদিনও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুনরায় উজ্জীবিত হয়েছিল। শেখ হাসিনা মুক্তির সংগ্রামকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে মুক্ত করেন। এভাবে আমাদের নানাবিধ সংগ্রাম মুখর জীবনকালে তাকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, তিনি যে আদর্শ, উদ্দেশ্য নিয়ে দলের জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন, আমরা যেন সেই আদর্শ উদ্দেশ্যকে বুকে ধারণ করে দলকে সামনে এগিয়ে যেতে পারি সেটাই হবে আজকে দিনের প্রত্যয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ