স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্রসমাবেশে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়েছেন তারা। বিকেল ৩টায় এ ছাত্রসমাবেশ শুরু হবে। তবে সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সারাদেশ থেকে দলে দলে আসছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে ছাত্র নেতাকর্মীদের ঢল নামছে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে ‘স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্রসমাবেশ’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সমাবেশে যোগ দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশ থেকে ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় সমাবেশস্থলের আশপাশে সারাদেশ থেকে আসা বাসগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। নেতাকর্মীরা অপেক্ষা করছেন সমাবেশস্থলে প্রবেশের জন্য। প্রবেশপথের ফটকগুলো এরই মধ্যে সম্পন্ন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সমাবেশে যোগ দিতে আসা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী রাব্বি আহসান জোটন বলেন, ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে সমাবেশে যোগ দিতে এসেছি। ভোরে রওয়ানা দিয়েছি। সকাল সাড়ে আটটার দিকে এসে পৌঁছেছি।
আজকের ছাত্রসমাবেশ ঘিরে নতুন বার্তা দিতে চায় ছাত্রলীগ। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতি ছাত্রসমাজের অকুণ্ঠ সমর্থনের জানান দিতে চায় সংগঠনটি।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্রসমাবেশকে কেন্দ্র করে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করেছে। এদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বাসী প্রতিটি ছাত্র স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিতে এবং শোককে শক্তিতে পরিণত করে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় আছে।
আজকের ছাত্রসমাবেশে অন্তত পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এ সংগঠনটি। এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে ছাত্রসমাজ উচ্চারণ করবে, ‘ওয়ানস অ্যাগেইন শেখ হাসিনা’।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ ছাত্রসমাবেশ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সমাবেশস্থল পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ উদ্ভূত রাজনৈতিক যে কোনো সংকট মোকাবিলা ও তা থেকে উত্তরণে ছাত্রসমাজের কী ভূমিকা হবে, ছাত্রসমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে দিকনির্দেশনা দেবেন। এ সমাবেশকে ‘তারুণ্যের অভিযাত্রা’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে ছাত্রসমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশ এলাকায় শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ভিভিআইপি গমনাগমন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু এলাকার রাস্তা বন্ধ/রোড ডাইভারশন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ