দক্ষিণাঞ্চলে সাগরে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। ফলে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে মণে মণে আসছে ইলিশ। যদিও ইলিশের ভরা মৌসুমে পদ্মা-মেঘনা নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছেন না জেলেরা।
এদিকে সরবরাহ বাড়ায় পুরো মাছঘাট এখন সরগরম। কর্মব্যস্ততা বেড়েছে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে দাম আগের মতোই। ইলিশের দাম না কমায় হতাশ ক্রেতারা।
শনিবার সকাল থেকে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, নদীপথে বড় বড় ট্রলারে করে ইলিশ আসছে চাঁদপুর মাছঘাটে। প্রতিটি ট্রলারে ৫০-৭০ মণ ইলিশ আছে। শ্রমিকরা ট্রলার থেকে ইলিশ নিয়ে স্তূপ করছে। আর সেই ইলিশ হাঁকডাকে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
ইলিশ ব্যবসায়ী বিপ্লব খান বলেন, শুক্রবার থেকে দক্ষিণাঞ্চলের নোয়াখালী, হাতিয়া, চরফ্যাশন ও পটুয়াখালী অঞ্চল থেকে চাঁদপুর মৎস্যঘাটে সাগরের ইলিশ আসতে শুরু করেছে। এক একদিন চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের সরবরাহ এক এক রকম হয়।
সরবরাহের ওপর ইলিশের দাম নির্ধারণ হয়। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৪-১৫০০ টাকা, ৭০০-৮০০ গ্রামের এক হাজার থেকে ১১০০ টাকা। আর দুই কেজি ওজনের ২ হাজার টাকা। এছাড়া চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনার ইলিশ কেজিতে ২০০-৩০০ টাকা বাড়বে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বড়স্টেশন মাছঘাটে ইলিশ কিনতে আসা আবদুল আহাদ ও মুরাদ হোসেন বলেন, মাছঘাটে প্রচুর ইলিশ কিন্তু দাম তো আগের মতোই। সরবরাহ বাড়ে কিন্তু দাম না কমার কারণটা কী। এখন কিছু ইলিশ কিনেছি। দাম কমলে আরও কেনার ইচ্ছে আছে।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার বলেন, তিনদিন ধরে চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার মণ ইলিশ চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে আসছে। আর এসব ইলিশ অধিকাংশ মাঝারি আকারের। সরবরাহ বাড়লে দামও কমবে।