বরগুনার বামনা উপজেলায় দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের মামলায় অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাতে বামনা থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা। এ মামলায় ওই শিক্ষার্থীর প্রতিবেশী আল আমীন (৩০) ও তার স্ত্রী তাজেনুর বেগমকে (২৩) বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে বরগুনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে মোবাইল ফোন নেই। তাই, প্রয়োজনে প্রতিবেশী আল আমীনের ফোন থেকে কথা বলতেন তিনি। এ সুযোগে আল আমীন প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। গত ২৮ জুলাই দুপুর ৩টার দিকে আল আমীনের স্ত্রী তাজেনুর বেগম ওই শিক্ষার্থীকে কাঁথা সেলাই করার জন্য ডেকে নিজেদের ঘরে আনেন। ঘরের পাটাতনে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন আল আমীন।
আল আমীনকে দেখে ওই শিক্ষার্থী নিচে নামতে গেলে তাজেনুর তাকে বাধা দেন এবং টেনে-হিঁচড়ে পাটাতনে ফেলে দেন। পরে আল আমীন তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে রাখেন তাজেনুর। ওই ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় ওই শিক্ষার্থীকে। কুপ্রস্তাবে পুনরায় রাজি না হলে ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তারা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বিষয়টি জানতে পেরে বামনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করে। রাতেই তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা নিয়ে শুক্রবার সকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, অনেক দিন ধরেই দেখছি, আমার মেয়ে মনমরা। কিন্তু, কিছু বুঝিনি। আল আমীন ও তার স্ত্রী আমার সম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। জানি না, এর পর মেয়েটার অবস্থা কেমন হয়। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বামনা থানার ওসি মো. মাইনুল ইসলাম বলেছেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা অভিযুক্ত আল আমীন ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও পেয়েছি। পরে মামলা নিয়ে অভিযুক্তদের বরগুনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ