রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার ৫ রাজনৈতিক দলগুলোকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ফিটনেসবিহীন বাসের কারণে দুর্ঘটনা হলে দায় বিআরটিএ’র: উপদেষ্টা মেঘনায় ট্রলার-স্পিডবোট সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ৪ আমার দল ক্ষমতায় যাবে না, তারপরও নির্বাচন চাই: মান্না খেলাফত মজলিসের নতুন আমির মামুনুল হক পাঠ্যবইয়ে জ্যোতির গল্প, জানতেন না নিজেই টিউলিপের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকারকে হুঁশিয়ারি নাসীরুদ্দীনের এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জু ও সম্পাদক ফুয়াদ মশা নিধনে কীটনাশক নির্ধারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটির নতুন কমিটি আফগান সীমান্তে ‘৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র’ হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, দাবি রিপোর্টে সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫ মামলায় গ্রেফতার ১০০ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ দুই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতার মুক্তির দাবিতে গাজীপুরে সমাবেশ, মহাসড়কে তীব্র যানজট একদিন বিশ্বের মানুষ ভারতের ভিসার জন্য লাইনে দাঁড়াবে: মোদি নির্বাচন হলে সব সংকট কেটে যাবে: মির্জা ফখরুল

জুলাইয়ে সড়কে ঝরেছে ৫৭৩ প্রাণ

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

গত জুলাই মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫১১টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫৭৩ জন এবং আহত হয়েছে ১২৫৬ জন মানুষ। একই সঙ্গে এসব দুর্ঘটনায় ১০ ছাগলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, ১৮৮ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৮৩ জন। এই সময়ে ১৪ নৌ-দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, ২৩ আহত এবং ১১ জন নিখোঁজ রয়েছে। ৩৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩২ জনের মৃত্যু এবং ১২ জন আহত হয়েছে।

সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো জুলাই মাসের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংগঠনটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহত হওয়ার চিত্রে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৮৩ জন; ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৩৬ জন; প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ আরোহী ২৩ জন; থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ১০৩ জন; স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্র-লাটাহাম্বা) ২২ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ১১ জন নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯৮টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২১৭টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৪৪টি পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৩৩টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৯টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। সেখানে ১৭৪টি দুর্ঘটনায় ১৭০ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২০টি দুর্ঘটনায় ৩১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি ৪২টি দুর্ঘটনায় ৪০ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে শরীয়তপুর ও বান্দরবান জেলায়। এই ২টি জেলায় সামান্য মাত্রার ৫টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। রাজধানী ঢাকায় ৩২টি দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত এবং ৩৭ জন আহত হয়েছে।

সংগঠনটির মতে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো হচ্ছে— ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ-যুবাদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি; গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং “সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮” বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সংগঠনটি দুর্ঘটনা পর্যালোচনা ও মন্তব্যে বলেছে গত জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিল ১৭.২ জন। জুলাই মাসে গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছে ১৮.৪৮ জন। এই হিসাবে জুলাই মাসে প্রাণহানি বেড়েছে ৭.৪৪ শতাংশ।

বর্তমানে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। অর্থাৎ অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দুর্ঘটনা কমানো যাবে না। গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ যেমন দরকার, তেমনি দরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন। যানবাহনে আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করতে হবে, যার মাধ্যমে গতিসীমা নজরদারি ও রেকর্ড করা যায়। 

যানবাহনের চাকা ফেটে দুর্ঘটনার মাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। জুলাই মাসে চাকা ফেটে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া রাজধানীর ফ্লাইওভারেও দুর্ঘটনা বেড়েছে। জুলাই মাসে হানিফ ফ্লাইওভারে ৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। পথচারী নিহতের ঘটনা ভয়াবহ মাত্রায় বাড়ছে। যানবাহনের বেপরোয়া গতি এবং পথচারীদের সড়ক ব্যবহারে অসচেতনতার কারণে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com