রংপুরে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে যোগ দিতে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। বুধবার (২ আগস্ট) সকাল থেকে জিলা স্কুল মাঠের প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন তারা। অনেকে রাতেই এসে অবস্থান নিয়েছেন সভাস্থলের আশপাশে।
সমাবেশের প্রবেশ গেটে গাইবান্ধা ও দিনাজপুরের কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিত হয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। রাতেই এসেছেন গঙ্গাচড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বাবলুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা। তারা সমাবেশস্থলের প্রবেশ গেটে অপেক্ষা করছেন।
জিলা স্কুল মাঠ ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জনসভার মাঠে প্রবেশের জন্য তিনটি গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গেটগুলোতে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। একটি গেট দিয়ে লাল ও হলুদ সবুজ কার্ডধারী প্রবেশ করতে পারবেন। মঞ্চের সঙ্গেই আরেকটি ভিআইপি গেট রয়েছে। সেখান দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কেন্দ্রীয় ও আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করবেন।
দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর রংপুর শহরে আসছেন টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রংপুরের জনসভাকে কেন্দ্র করে কঠোর অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। যারা মাঠে প্রবেশ করবেন, তাদের প্রত্যেককে পুলিশ তল্লাশি করবে। কড়া নজরদারি করছে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ)। এছাড়া মঞ্চের পেছনে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, জনসভার নিরাপত্তায় পোশাক পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। জনসভাস্থল, পুরো শহর এবং সার্কিট হাউজ পুরোটাই সিসি ক্যামেরার কাভারেজে রয়েছে। সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় এক হাজারেরও বেশি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সবমিলিয়ে রংপুর নগরীর এখন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা।
রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে জিলা স্কুল মাঠের জনসভায় উপস্থিত হবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ বক্তব্য রাখবেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশকে ঘিরে একাট্টা ও উজ্জীবিত রংপুর আওয়ামী লীগ। এ মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে তৃণমূল আওয়ামী আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এসময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেন। এর সাড়ে চার বছরেরও বেশি সময় পর রংপুরে আসছেন শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় এসেছিলেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ