যুক্তরাষ্ট্রের লিগে ইন্টার মিয়ামির হয়ে লিওনেল মেসির আত্মপ্রকাশ হয়ে গিয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু মাঠে নামার। আগামীকাল শুক্রবারই অভিষেক ম্যাচ খেলার কথা ছিল মেসির। কিন্তু সেটা পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মেসির জন্য বদলে ফেলা হতে পারে মাঠের ঘাসও!
২১ জুলাই মেসির প্রথম ম্যাচ খেলার কথা ছিল। কিন্তু মিয়ামির অন্যতম মালিক ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম মনে করছেন, মেসির অভিষেক বিলম্বিত হতে পারে।তিনি বলেন, ‘মেসি শুক্রবার খেলবে কি না জানি না। খেললেও কতক্ষণ খেলবে জানি না। আমার মনে হয় ওর নিজেকে তৈরি করতে সময় লাগবে। আমাদের ওর দিকটাও তো দেখতে হবে। ও এত দিন ছুটিতে ছিল। মিয়ামিতে সবে এসেছে, অনুশীলন শুরু করেছে।’
বেকহ্যাম জানিয়েছেন যে, আর্জেন্টিনার অধিনায়ক কবে থেকে খেলবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন কোচ টাটা মার্টিনো এবং অবশ্যই মেসি নিজে।
মেসির আমেরিকায় খেলতে আসা সে দেশের ফুটবলেও বড় পরিবর্তন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবারের ম্যাচের টিকিট বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। যদিও সমর্থকরা মাঠে এসে মেসিকে দেখতে পারবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মধ্যে খবর, আমেরিকার মাঠের কৃত্রিম ঘাস (অ্যাস্ট্রোটার্ফ) সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা হচ্ছে। কারণ, অ্যাস্ট্রোটার্ফে খেললে চোট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মেসির ক্লাব মিয়ামিতে সাধারণ ঘাস রয়েছে। ঘরের মাঠে মেসির তাই কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু সিয়াটেল, অ্যাটলান্টা, নিউ ইংল্যান্ড, শার্লট এবং পোর্টল্যান্ডের মাঠে কৃত্রিম ঘাস। সেই সব মাঠে লিগের ম্যাচ খেলতে গেলে মেসিকে কৃত্রিম ঘাসে খেলতে হবে। যা চিন্তা বাড়িয়েছে আয়োজকদের।
যেহেতু কৃত্রিম ঘাসের মাঠ পরিচর্যা করার খরচ কম, তাই অনেক জায়গাতেই এই ধরনের ঘাস ব্যবহার করা হয়। আমেরিকার মেজর সকার লিগের নিয়মে সেই মাঠ নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞাও নেই। কিন্তু মেসি খেলতে আসার পর লিগের সব জায়গার মাঠেই সাধারণ ঘাস লাগানোর কথা বলা হচ্ছে।
লিগের কমিশনার ডন গারবের বলেন, ‘আমেরিকায় অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়। সেগুলো ঘাসের মাঠেই হয়। কিন্তু লিগের সব দলের সেই মাঠ নেই। আমি আশা করি সেই সব দল নিজেদের মাঠের ঘাস বদলাবে। সেটা করতে যদিও সময় লাগবে। অনেক আন্তর্জাতিক তারকা মেজর লিগ সকারে খেলতে আসছেন। তাদের অনেকে কৃত্রিম ঘাসে খেলতে রাজি নন। যদিও থিয়েরি অঁরি এবং কাকার মতো ফুটবলার এসে খেলে গিয়েছিলেন এই ধরনের মাঠেই।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি