আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী আদনান সাঈদ রাকিব মোবাইল ফোন দিতে অস্বীকৃতি জানালে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মূল হত্যাকারীসহ ৩ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ডিবি জানায়, সোমবার (১৭ জুলাই) রায়েরবাগ বস্তি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন মো. ইকবাল, মো. সুমন ভুইয়া ওরফে বড় সুমন এবং মো. সুমন ওরফে কালু সুমন ওরফে ছোট সুমন। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ব্যাটারিচালিত ১টি রিকশা এবং একটি সুইচ গিয়ারের চাকু জব্দ করা হয়।
আদনান সাঈদ রাকিব এবং তার বন্ধু রাইয়ান রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর রোডসংলগ্ন শেখ জামাল মাঠের পূর্বপার্শ্বে নার্সারীর সামনে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী তাদের ঘিরে ফেলে। প্রথমে রাইয়ানকে মারধর করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় তারা। এরপর রাকিবের মোবাইল ফোন চাইলে সে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতেই ছিনতাইকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে রাকিবকে সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, আদনান সাঈদ রাকিব হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন, মূল আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। রাকিব মোবাইল ফোন দিতে অনীহা প্রকাশ করায় ছিনতাইকারীরা ধারালো চাকু দিয়ে তার বুকের ডান পাশে, কাঁধের নিচে ও বাম পায়ের উরুতে গুরুতর আঘাত করে।
তিনি আরও বলেন, রাকিব চিৎকার করলে আশপাশ কোনো লোকজন এগিয়ে না আসায় সে নিজেই রাস্তা পার হয়ে পূর্ব পার্শ্বে গ্রীন রোড স্টাফ কোয়ার্টারের ১ নাম্বার গেট দিয়ে ৫০ গজ সামনে এসে একটি বাড়ির সামনে রাস্তার উপর অচেতন হয়ে পড়ে যায়। রাকিব যে কোয়ার্টারে থাকতেন সেখানকার একজন আবু বক্কর সিদ্দিক রাকিবের বাবাকে মোবাইলে অবগত করে এবং বড় ভাই আরমান সজিব হৃদয়কে ডেকে আনেন। এরপর তারা রাকিবকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে নিয়ে যায়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি