বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ট্রাম্পের জয়ে ড. ইউনূসের অভিনন্দন ফিলিং স্টেশনে আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে ৪, মামলা প্রকাশ্য বাহা‌সের চ্যালেঞ্জ, সাদের উপস্থিতিসহ ৫ দাবি লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ১৮৩ জন মানিকগঞ্জ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রংপুরে গ্রেফতার শপথ নিলেন পিএসসির আরও ৪ সদস্য প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ২ কেজিতে ৩ টাকা বাড়িয়ে আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ এক লাখ টন বাসমতি চাল-গম কিনবে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন দেশের আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য আফগানদের ঘুরে দাঁড়াতে দিলেন না তাসকিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঐতিহাসিক জয় প্রাকৃতিক বনায়নে আর সামাজিক বনায়ন নয়: রিজওয়ানা হাসান খালেদ মুহিউদ্দীনের টকশোতে অতিথি সাদ্দাম, যা বললেন হাসনাত-সারজিস এবারের বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ‘ডাচ বাংলা ব্যাংক’ ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপনার সঙ্গে আছে’ হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সার-তাপস তিন দিনের রিমান্ডে ট্রাম্পকে বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন আমি সবসময় তোমাদের পাশে থাকবো: আবু সাঈদের পরিবারকে ড. ইউনূস প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান

বিএনপি যতই রূপরেখা দিক সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না: তথ্যমন্ত্রী

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি যতই রূপরেখা দিক না কেন, সংবিধান অনুযায়ীই দেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র যেভাবে পালন করে আমাদের দেশেও আমাদের সংবিধান অনুযায়ী ঠিক একইভাবে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। তারা যত ধরনের রূপরেখাই দেন না কেন, সংবিধানের এক চুলও ব্যত্যয় হবে না।

ঈদের পর বিএনপির একদফা আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান বলেন, একদফার আন্দোলন বিএনপি ২০১৩ সাল থেকেই শুরু করেছে। সেই আন্দোলনের নামে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে দেশের মানুষ তাদের নৈরাজ্য দেখেছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারার মহোৎসব আমরা দেখেছি। সেই পরিস্থিতি আমরা সামাল দিয়েছি। এখন বিএনপি কতটুকু কি করতে পারে, সেটা নিয়ে আমাদের ধারণা আছে।

‘‘তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এখন ‘খাঁচায় বন্দী বাঘ’, আর তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশান্তরী পলাতক আসামি’’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবসহ তাদের অন্যান্য নেতৃত্ব কতটুকু কি করতে পারে, সে ক্ষেত্রে কী করতে হবে-সেটা আমাদের জানা আছে। তাদের শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে আমরা জানি। তাদের এসব কথা বাগাড়ম্বর ছাড়া অন্য কিছু নয়।

সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘এ বাংলাদেশ তো আমরা চাইনি, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এমন একটা পরিবেশ দেখতে চাইনি’ -এর জবাবে আওয়ামী লীগের জেষ্ঠ্য এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব অবচেতন মনে সত্য কথা বলেছেন। কারণ তিন আর তার বাবা বাংলাদেশটাই চাননি। তার বাবা ছিলেন পাকিস্তানপন্থি। ফখরুল সাহেব কদিন আগে বলেছিলেন-পাকিস্তানই ভালো ছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশটাই তিনি চাননি। আর তিনিতো কোনোভাবেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। দেশ স্বাধীনের পর তিনি অনেকদিন আত্মগোপনে ছিলেন।’

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি ও কয়েকজন অর্থনীতিবিদের কিছু মন্তব্যের সূত্র ধরে বিএনপির সমালোচনার জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি যেসব সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের রেফারেন্স দিয়ে কথা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা কোনোদিন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো দেখেনি।

কিন্তু তাদের এ ভালো না দেখার মধ্যেও আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় ছয়শ ডলার থেকে ২ হাজার ৮শ ডলারে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪১ থেকে ১৮ শতাংশে নেমেছে। দেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ে উন্নীত হয়েছে। এখন জিডিপিতে বিশ্বের ৩৫তম ওপিপিপিতে ৩১তম, খুব সহসাই ২৭তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হবে। বিএনপি এগুলো কোনোদিন দেখেনি। তাদের চোখে ছানি পড়েছে কিংবা না দেখার দৈন্যের জন্য তারা চিকিৎসক দেখাতে পারেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের কষ্ট হয় যে বিএনপি নেতারা দেখেও দেখতে পান না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশ অথনৈতিকভাবে এগিয়ে গেছে। করোনায় বিশ্বে মাত্র ২০টি দেশে জিডিপি বেড়েছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। এগুলো যদি তারা না দেখেন, তাহলে বলার কিছু নেই।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের অর্থনীতি নানাভাবে চাপে ছিল। আমাদের অর্থনীতি সেটিও কাটিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে এখন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। যেমন আমাদের রিজার্ভ কমে ৩০ বিলয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল। সেটি এখন বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।

এত কিছুর মধ্যেও গত বছর আমাদের রপ্তানি আয় ছিল ৫৮ বিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় অনেক বেশি। সুতরাং আমাদের অর্থনীতি অনেক ভালো আছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল সাহেবরা কামনা করেন অর্থনীতিটা খারাপ হোক। সেজন্যই তারা এসব কথা বলেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com