বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ফেঞ্চুগঞ্জ সেতুতে টোল আদায় ফের শুরু হচ্ছে আজ জাতিসংঘে ড. ইউনূসের সফল সফর, চিন্তায় নয়াদিল্লি ড্রোন হামলা, আগুন ছড়িয়ে পড়ল তেলআবিবে আরেক হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী গ্রেফতার লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত যশোরে পুলিশের অভিযান, আ.লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার সালাহর রেকর্ড গড়ার রাত, লিভারপুলের জয় হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-নেতারা গ্রেফতার না হওয়ায় উদ্বেগ বিএনপির সাবেক এমপি দবিরুল ইসলাম গ্রেফতার জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার পক্ষে নন বাইডেন টানা বৃষ্টিতে রাজধানীতে ভোগান্তি, শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর দেওয়ার রায় প্রত্যাহার শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সুপারভাইজারী কমিটির ৮৩তম সভা অনুষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংকের অডিট বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২ ২ হাজার কোটি টাকার ৬ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন একরামুল-গোলন্দাজসহ দুদকের জালে সাবেক ১০ এমপি শুল্ক গোয়েন্দার ডিজিসহ ৩১ কর্মকর্তা পদে রদবদল দুই শতাধিক কৃষককে ঋণ দিলো এবি ব্যাংক

বিসিসি নির্বাচন প্রতিমন্ত্রী ও মেয়র অনুসারী প্রার্থীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

বরিশাল প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড দুটি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস, বিশ্ববিদ্যালয়, মসজিদ-মন্দিরসহ শহরের অধিকাংশ মানুষের বসবাস এই ওয়ার্ড দুটিতে।

তবে দুটি ওয়ার্ডেই প্রায় একই ধরণের সমস্যায় ভুগছে বাসিন্দারা। অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তা ও বাড়িঘর তলিয়ে যায়। নেই উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে মশার উপদ্রব।

২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব ও ২১ নং ওয়ার্ডের শেখ সাঈদ আহম্মেদ মান্না। জিয়াউর রহমান বিপ্লব পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক অনুসারী, শেখ সাঈদ আহম্মেদ মান্না সাদিক অনুসারী বর্তমান মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।

২০নং ওয়ার্ডে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী কাউন্সিলরের প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ওবায়দুল হক ওরফে সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত। ২১নং ওয়ার্ডে সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী কাউন্সিলর শেখ সাঈদ আহম্মেদ মান্নার প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী অনুসারী আবু মুহাম্মদ মুসা ও শাহরিয়ার সচিব।

অন্যান্য ওয়ার্ডেও একই সমীকরণে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এই ওয়ার্ড দুটিতে উভয়পক্ষই রাজনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থান ধরে রাখায় সবার নজর এদিকে।  

সরেজমিন ঘুরে জানান গেছে, জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছে বর্তমান কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব ও শেখ সাঈদ আহম্মেদ মান্না। তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী মারধরের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 ২০নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, নিউ কলেজ রোড, বৈদ্যপাড়া, কলেজ এভিনিউ, ব্রজমোহন কলেজের পেছনের সড়ক, কলেজ এলাকায় সড়কের বেহাল দশা।

dhakapost

বাসিন্দারা বলছেন, বর্ষা এলেই সড়কগুলোতে পানি জমে যায়। সরু ড্রেনের ময়লা আবর্জনা ও পানি সড়কে উঠে একাকার হয়ে থাকে। বিগত পাঁচ বছরেও তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। মশার উৎপাত বেড়ে যায়। ব্রজমোহন কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই এলাকায় বসবাস করে। তাদের দুর্ভোগও সীমাহীন।

সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত জানিয়েছেন, নির্বাচিত হতে পারলে ওয়ার্ডের প্রধান প্রধান সমস্যাগুলো শনাক্ত করে সমাধানে উদ্যোগ নেব। তার অভিযোগ, কর্মীরা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় নামলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন হুমকি দেয়, গালিগালাজ করেন। বিশেষ করে নারীকর্মীরা। এজন্য তার কর্মীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। সর্বশেষ ৩০ মে রাতে তার এক কর্মীকে মারধর করে খালে ফেলা হয়।

যদিও ওয়ার্ডে উভয় পক্ষকেই প্রচার-প্রচারণা ও মিছিল করতে দেখা গেছে। অভিযোগের বিষয়ে আগে থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব। সর্বশেষ ৩১ মে তার মুঠোফোনে ও কার্যালয়ে গিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার বক্তব্য সংযুক্ত করা গেল না।

সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার প্রায় ২০ বছর পরেও ২১নং ওয়ার্ডের ভাঙাচোরা সড়ক ও জলাবদ্ধতা দূর করতে পারেনি নগর কর্তৃপক্ষ। বর্ষা মৌসুমে হাঁট সমান পানিতে ডুবে থাকে ওয়ার্ডটির প্রধান প্রধান সড়ক। তবে সাদিক আব্দুল্লাহর শেষ সময়ে কয়েকটি সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছিল। অসমাপ্ত কাজে এখন আরো দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।  

মুসলিম গোরস্থান রোড এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী আনোয়ার খান বলেন, মুসলিম গোরস্থানে প্রবেশের মূল সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা, শুধু মেরামতের প্রতিশ্রুতি শুনে আসছি। আদৌ সড়কটি মেরামতের কোনো লক্ষণ দেখছি না। তাছাড়া বর্ষায় এ সড়কটি পুরাই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

ব্যবসায়ী মোতালেব হাওলাদার বলেন, ওয়ার্ডের রাস্তার পাশের ড্রেনগুলো দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করতে দেখিনি। ময়লার স্তূপ জমে ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে আছে। এ কারণেই বৃষ্টির পানি ড্রেনে না নেমে রাস্তায় জমে থাকে। স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে বিষয়টি দীর্ঘদিন জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। আমার চাই যেই নতুন জনপ্রতিনিধি হোক সে রাস্তা ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করুক।

একই অভিযোগ ওয়ার্ডটির মুসলিম গোরস্থান থেকে করিম কুটির লেন পর্যন্ত বাসিন্দাদের। তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে থাকতো। নির্বাচনের আগে আগে সড়ক কাজ ধরায় কিছুটা ভোগান্তি কমেছে। তবে কাজ এখন পর্যন্ত সম্পন্ন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবু মোহাম্মদ মুসা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা অনুন্নত, মশার উপদ্রব সহ নানা ধরনের সমস্যায় ভুগছে ওয়ার্ডবাসী। তাছাড়া রাস্তা ঘাট ভাঙাচোরা রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।

ওয়ার্ডের লোকজন সব ধরনের সিটি কর পরিশোধ করেও নূন্যতম নাগরিক সেবা পাচ্ছে না। নির্বাচনে আমার কর্মী সমর্থকরা ভোট চাইতে যেতে পারে না। ভোট চাইতে গেলে কাউন্সিলরের সমর্থকরা বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। একই অভিযোগ করেন আরেক প্রার্থী শাহরিয়ার সাচিব রাজিব।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাঈদ আহমেদ বলেন, ওয়ার্ডবাসীর সাধ্যমত সেবা করার চেষ্টা করেছি। কতটুকু করতে পারছি তা ওয়ার্ডবাসী ভালো জানেন। এছাড়া ভাঙাচোরা সড়কগুলোর টেন্ডার ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। যদি পুনরায় নির্বাচিত হতে পারি তাহলে বাকি কাজ সম্পন্ন করব।

তিনি বলেন, ওয়ার্ডে নির্বাচনী কাজ করতে কারো কোন সমস্যা হচ্ছে না।

বাংলা৭১নিউজ/একেএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com