পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকালে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির ২৭ নেতা। এরমধ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামও রয়েছেন। পুলিশের কাজে বাধা, ইটপাটকেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপের অভিযোগে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় মামলা দুটি করা হয়।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে বিএনপি নেতারা জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন দেন। এই সময়ের মধ্যে তাদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
জামিনপ্রাপ্ত অন্য নেতাদের মধ্যে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, বিএনপি নেতা মীর শরফত আলী সপুও আছেন। আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে কায়সার কামাল জানান, গত ২৩ মে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৪ মে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পুলিশের ওপর হামলা, ইটপাটকেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপের অভিযোগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়ে। এতে জামিন চেয়ে বিএনপি নেতারা আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৫ মে নিউমার্কেট ও ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় ১৬ জন বিএনপি নেতাকে জামিন দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকি দিয়ে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের বক্তব্য কেন্দ্র করে গত ২৫ মে জামালপুর সদর থানায় দ্রুত বিচার আইন দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, জেলা সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনসহ পাঁচজনকে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন। তারা হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম