গ্রিসে বৈধতা কার্যক্রম চলমান থাকলেও পাসপোর্ট না থাকায় এ সুযোগ হারানোর শঙ্খায় রয়েছেন বহু বাংলাদেশি। অনেকেই হাতের লেখা পাসপোর্টের যুগে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে প্রবেশ করেছিলেন, তাদের কাছে নেই কোনো ডিজিটাল পাসপোর্ট। এসব অনিয়মিতদের নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অবশেষে তাদের পাসপোর্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দূতাবাস।
গ্রিসপ্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, বাংলাদেশ ও গ্রিসের সমঝোতা চুক্তি বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হিসেবে গ্রিসে থাকা অবৈধ ১৫ হাজার অভিবাসীকে অস্থায়ীভাবে বৈধতা দেওয়ার কার্যক্রম চলমান। অনিয়মিত বাংলাদেশিদের বৈধ হতে হলে প্রথম শর্ত হচ্ছে দুই বছরের বেশি মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট থাকতে হয়। কিন্তু পাসপোর্ট না থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন এসব বাংলাদেশি। কারণ হাতের লেখা পাসপোর্ট নিয়ে সীমান্ত দিয়ে গ্রিসে প্রবেশকারী বাংলাদেশিরা নতুন করে পাসপোর্ট করার সুযোগও পাচ্ছে না। তবে এবার এসব বাংলাদেশিদের সুখবর দিয়েছে দূতাবাস।
গতকাল গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দূতাবাসের নিরন্তর অনুরোধের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ বিবেচনায় গ্রিসে বসবাসরত অনিয়মিত বাংলাদেশিদের চলমান নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়ার আওতায় আনার লক্ষ্যে গ্রিস প্রবাসী পাসপোর্টবিহীন বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে দূতাবাসের আশ্বাসে প্রবাসীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে।
এমতাবস্থায়, যেসব গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশি ইতোপূর্বে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) করেননি, হাতে লেখা পাসপোর্ট করলেও হারিয়ে ফেলেছেন বা কখনও কোনো ধরনের পাসপোর্ট করেননি তাদের দ্রুত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ (যেমন: হাতে লেখা পাসপোর্টের অনুলিপি/জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ, বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ) এমআরপি পাসপোর্টের আবেদন ফরম পূরণ করে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার অনুরোধ জানান রাষ্ট্রদূত।
এই সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য বলবৎ থাকবে বিধায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসম্ভব দ্রুত নতুন পাসপোর্টের আবেদন সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে দূতাবাসের পক্ষ থেকে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ