প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহিত্যের ছাত্রী হলেও শুধু জানার আগ্রহ থেকে তিনি একজন আধুনিক প্রযুক্তিবিদের মতোই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলছেন। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি উন্নয়নই একটি দেশের মূল উন্নয়ন হিসেবে বিবেচিত। আর সেই উন্নয়ন করতে সীমিত সম্পদ নিয়েই প্রকৌশলীরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
রোববার (১৪ মে) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ৬০তম কনভেনশনের জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন।
আইইবির এবারের জাতীয় সেমিনারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন প্রিপারেডনেস ইন সোসাইটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’।
সেমিনারে সংসদ উপনেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু মাটি এবং মানুষ দিয়েই সাড়ে তিন বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের কাঠামো দাঁড় করিয়েছিলেন।
মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই কাজ শুরু করে দিয়েছিল। এখনও চতুর্থ শিল্প কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন৷ তিনি বাংলাদেশকে বিনির্মাণ করছেন সাহসের সাথে।
বিদেশিরা যারা সমালোচনা করতো তাদের প্রসঙ্গে উপনেতা বলেন, বাংলাদেশের সফলতা দেখতে এখন বিদেশিরা বাংলাদেশে আসছেন। এদেশের থেকে পরামর্শ চাচ্ছেন। জলে, স্থলে ও অন্তরীক্ষে উন্নয়নে প্রকৌশলীরা কাজ করে যাচ্ছেন৷
সেমিনারের সভাপতির বক্তব্যে আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল হুদা বলেন, আওয়ামী লীগে সরকার ভিশনারি সরকার। ২০০৯ সালে এসেই ‘দিন বদলের স্লোগান’ দিয়েই আগামী ১০০ বছর পর কেমন বাংলাদেশ হবে তার ভিশন তৈরি করে রেখেছেন।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. প্রকৌশলী মাহফুজুল ইসলাম বলেন,শিক্ষা ব্যবস্থা এখন আর বেসিক শিক্ষার জায়গায় নাই। কারণ বেসিক শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্বে টিকে থাকার সময় শেষ হয়ে গেছে। বিশ্বের সব দেশই এখন চাকরিকেন্দ্রীক শিক্ষার দিকে ফিরে যাচ্ছে যেমন: মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, এলইডি ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইবার সিকিউরিটি, ডাটা সাইন্স, রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এই ধরনের বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে যেনো দেশের জনগণ আগামী বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে। আমার বিশ্বাস অত্যাধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের তরুণ প্রজন্ম ২০৪১ সালের মধ্যেই বিশ্বে নেতৃত্ব দিবে।
আইইবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইইবির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো.আবুল কালাম হাজারী, ইঞ্জিনিয়ার মো. রনক আহসানসহ আইইবির ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেন, আইইবির বিভিন্ন সেন্টার,সাব-সেন্টারের নেতারা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ