রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেফতার টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত সরকারের প্রতি জি এম কাদেরের ত্রাণ সহায়তার আহ্বান ডেঙ্গুতে আরো ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫ বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠন হচ্ছে : আসিফ ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম, পিস ৭.৫ টাকা কোনো নিরাপত্তাঝুঁকি নেই, নির্বিঘ্নে পূজা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সুদ মওকুফ করে ঋণ রিশিডিউল করার দাবি চামড়া ব্যবসায়ীদের ১০০০ আইটি ইঞ্জিনিয়ারকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় জাইকা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিডি দুই জাহাজে অগ্নিকাণ্ড: নৌ-মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন অভ্যুত্থানে ১০৫ শিশু নিহত, প্রত্যেক পরিবার পাচ্ছে ৫০ হাজার টাকা ক্রিকেটার ছদ্মবেশে শ্রমিক নেওয়ার অভিযোগে ২১ বাংলাদেশি আটক ইসরায়েলি হামলা হলে জবাব দিতে পরিকল্পনা প্রস্তুত ইরানের সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব আমিনুল গ্রেপ্তার অনুমাননির্ভর কোনো কথা বলতে চাই না: সাখাওয়াত হোসেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার প্রশ্ন সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নিতে পারবেন শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিবের ৭ দিনের রিমান্ড হেলেনা জাহাঙ্গীর-রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা

অভিযানে মিলেছে সত্যতা হাসপাতালে কর্মী নিয়োগে লাখ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগে লাখ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন হয়। প্রতিটি নিয়োগে ৫০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা নেয় হাসপাতালের একটি সিন্ডিকেট।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার বিরাজ হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা মিলেছে। 

বুধবার (১০ মে) এ অভিযান পরিচালনা করেছে দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম। সংস্থাটির (জনসংযোগ) কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

দুদক সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সেখানকার ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার বিরাজ হোসেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। অভিযানে হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ওয়ার্ড বয়, আয়া, নিরাপত্তা প্রহরী ও সেবা প্রার্থীদের বক্তব্য নেওয়া হয়।

সূত্র আরও জানায়, সেখানে কর্মরত কর্মচারীদের বক্তব্য অনুযায়ী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ওয়ার্ড বয়, আয়া, নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে নগদ টাকা নিয়েছেন বিরাজ হোসেন। তার রুম তল্লাশি করে বেশ কিছু ফাইল পাওয়া যায়। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত ফাইল পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিভিন্ন আবেদনকারীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার বিরাজ হোসেন। ঘুষের টাকাগুলো তিনি গলফ সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের কর্মকর্তাদের দিয়েছেন বলে জানান। কিন্তু টাকা নিয়েও তার সুপারিশ করা আবেদনকারীদের নিয়োগ দেননি তারা। তাই বর্তমানে আবেদনকারীদের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে দুদক টিমের কাছে দাবি করেন বিরাজ হোসেন। 

জিজ্ঞাসাবাদে ওই ওয়ার্ড মাস্টার জানান, হাসপাতালে বিনা বেতনে কাজ করছেন প্রায় ৯০ জন কর্মচারী। সে কারণে হাসপাতালটিতে সেবা নিতে আসা রোগীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে ট্রলি ভাড়া নিয়ে থাকেন এসব কর্মচারীরা। এছাড়া মর্গ থেকে মরদেহ নিতে আসা স্বজনদের কাছ থেকে চার হাজার বা পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় রোগীদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। সম্প্রতি আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া প্রথম শিফটে কর্মরত অধিকাংশ কর্মী স্বীকার করেন, নিয়োগ পেতে গলফ সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডকে ৫০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা দিতে হয়েছে তাদের। 

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com