বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যাত্রাবাড়ীতে বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারের সময় গ্রেপ্তার ২ ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ: রিপোর্ট কামরুল-পলকসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেফতার বেনজীরের স্ত্রী ও মেয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ ভৈরব থানার লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অবশেষে মায়ের বুকে ছেলে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন বাঘাবাড়ী নৌবন্দর নাব্য সংকট, ভিড়তে পারছে না জাহাজ নিয়োগ দুর্নীতি : ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা নির্বাচন সংস্কারে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের ১১ প্রস্তাব লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া ট্রাম্পের মানচিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অঙ্গরাজ্য কানাডা ২০২৪ সালে সড়কে নিহত ৭ হাজারের বেশি : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযানের হুমকি তুরস্কের টিসিবির নতুন চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল ফয়সাল আজাদ একনেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন ঢাকায় ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন ডিএমপি কমিশনার বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা রায়েরবাজারে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ

অভিযানে মিলেছে সত্যতা হাসপাতালে কর্মী নিয়োগে লাখ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগে লাখ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন হয়। প্রতিটি নিয়োগে ৫০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা নেয় হাসপাতালের একটি সিন্ডিকেট।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার বিরাজ হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা মিলেছে। 

বুধবার (১০ মে) এ অভিযান পরিচালনা করেছে দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম। সংস্থাটির (জনসংযোগ) কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

দুদক সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সেখানকার ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার বিরাজ হোসেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। অভিযানে হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ওয়ার্ড বয়, আয়া, নিরাপত্তা প্রহরী ও সেবা প্রার্থীদের বক্তব্য নেওয়া হয়।

সূত্র আরও জানায়, সেখানে কর্মরত কর্মচারীদের বক্তব্য অনুযায়ী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ওয়ার্ড বয়, আয়া, নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে নগদ টাকা নিয়েছেন বিরাজ হোসেন। তার রুম তল্লাশি করে বেশ কিছু ফাইল পাওয়া যায়। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত ফাইল পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিভিন্ন আবেদনকারীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার বিরাজ হোসেন। ঘুষের টাকাগুলো তিনি গলফ সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের কর্মকর্তাদের দিয়েছেন বলে জানান। কিন্তু টাকা নিয়েও তার সুপারিশ করা আবেদনকারীদের নিয়োগ দেননি তারা। তাই বর্তমানে আবেদনকারীদের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে দুদক টিমের কাছে দাবি করেন বিরাজ হোসেন। 

জিজ্ঞাসাবাদে ওই ওয়ার্ড মাস্টার জানান, হাসপাতালে বিনা বেতনে কাজ করছেন প্রায় ৯০ জন কর্মচারী। সে কারণে হাসপাতালটিতে সেবা নিতে আসা রোগীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে ট্রলি ভাড়া নিয়ে থাকেন এসব কর্মচারীরা। এছাড়া মর্গ থেকে মরদেহ নিতে আসা স্বজনদের কাছ থেকে চার হাজার বা পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় রোগীদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। সম্প্রতি আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া প্রথম শিফটে কর্মরত অধিকাংশ কর্মী স্বীকার করেন, নিয়োগ পেতে গলফ সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডকে ৫০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা দিতে হয়েছে তাদের। 

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com