শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আমিরাতে ৬৫ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি মাসুদ বিশ্বাসের সম্পদের খোঁজে ১১ দেশে চিঠি সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র গ্রেপ্তার নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ পূজামণ্ডপে থাকবে দুই মন্ত্রণালয়ের ৮৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবী এইচএসসির ফল ১৫-১৭ অক্টোবরের মধ্যে আ.লীগের সহ-সভাপতি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, ৯২টি গুলি ব্যবহারের স্বীকারোক্তি শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ৮৮২তম সভা অনুষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত বিবাদ-বিদ্বেষ নয়, জাতীয় সংহতির মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই: নুর ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০২২ ১০ বছরের আক্ষেপ মিটিয়ে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের টাইম ম্যাগাজিনের ‘হানড্রেড নেক্সট’ তালিকায় উপদেষ্টা নাহিদ এবার গাজার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার দাবি করল ইসরায়েল নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করতে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল হবে: আসিফ নজরুল ডিসি নিয়োগে লেন‌দে‌নের অভিযোগ তদন্তের নি‌র্দেশ, দা‌য়ি‌ত্বে ৩ উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৪ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গাছে গাছে দুলছে রসালো আম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ৭ মে, ২০২৩
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানগুলোতে গাছে গাছে দুলছে রসালো আম। আর আম নিয়েই আমচাষীরা স্বপ্ন দেখছেন তাদের ভবিষ্যত গড়ার। তবে চাঁপাইনাববগঞ্জের সুমিষ্ট রসালো আম খেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আরও প্রায় এক মাস। কিন্তু এরইমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অন্যান্য সাতক্ষীরা জেলার আম চাঁপাইনবাবগঞ্জের বলে বিক্রি করে ভোক্তাদের করা হচ্ছে প্রতারিত। কারণ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম পাকে সবার পরে।

জানা গেছে, অন্যান্য বছরের মতো এবার আম ক্যালেন্ডার নির্দিষ্ট না করায় আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা বেজাই খুশি। কারণ আম পাকার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই, আম পাকে প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। আবহাওয়ার কারণে দেরিতে মুকুল আসলে আমও পাকে দেরিতে। যেটা এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে হয়েছে। অর্থাৎ এবার আমের মুকুল এসেছে দেরিতে সুতরাং আমও পাকবে দেরিতে। তবে এখন গরম পড়ায় আর প্রায় মাসখানেক পরেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাহারী আমে হাট-বাজার ভরে উঠবে বলে মনে করছেন আম ব্যবসায়ী ও চাষিরা।

আশা করা হচ্ছে চলতি মৌসুমে প্রায় ৫ লাখ লোক কর্মমূখর হয়ে উঠবে আমকে ঘিরে। ইতিমধ্যে জেলার পাইকারী ও খুচরা আম ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলার বৃহৎ আমের মোকাম কানসাট, ভোলাহাট, রহনপুর ও সদরের পুরাতন তহাবাজারে কেউ ঠিক করছেন আমের আড়ৎ, আবার কেউ আমের টুকরী, সুতলী, পেপারসহ খড় (ঘাস) মজুদ করছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের কদর সর্বজন বিদিত। তাই এই আম নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ আগামী ৩-৪ মাস ব্যস্ত সময় পার করবেন। তবে প্রথমে আসবে গোপাল ভোগ, তারপর গুটি থেকে ক্ষিরসাপাত এবং সবশেষে আসবে আশ্বিণা জাতের আম। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের স্বাদ নিতে হলে আরও প্রায় এক মাস অপেক্ষা করতে হবে আম পিপাসুদের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎপাদিত বাহারী আমগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ফজলী, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, অর্মতভোগ, ত্রিফলা, বৌ-ভুলানী, বৌ-পটানী, ভাদুরী, ক্ষীরসাপাত, আশ্বিণা, জয়েন্তি, জয়না, গুটি, কিষানভোগ, হিমসাগর, মোহনভোগ, মিশরীভোগ, কুয়াপাহাড়ী, সূর্যপুরী, ক্ষুদিক্ষীরসা, লতাবোম্বাই, আলমশাহী, কহিতুর, গোলাপখাস, আলফানসো, কালিভোগ, কালাপাহাড়, সাহাপসন্দ, মোহনপসন্দ, সিন্দুরী, চৌষা, কালুয়া, ধুলুয়া, দারভাঙ্গা, লক্ষণভোগ, আশ্বিনা, রাজভোগ, বৃন্দাবনি, দুধিয়া, টিক্কা ফরাস, তোতাপুরি, কাঁচামিঠা, হাজীপুরি ইত্যাদি। এছাড়া ভারতীয় জাতের মধ্যে রয়েছে আম্রপালি, মল্লি¬কা, সুর্বণরেখা, মিশ্র স্পেশাল, ইন্ডিয়ান চোষা, ভারতী, হরদেমনি, রত্না, সরিখাস, মেঘলালন্ঠন, বিশ্বনাথ চ্যাটার্জি, ভাসতারা, সিন্ধু, চম্পা, সূবর্ণ, নীলউদ্দীন, রাংগোয়াই, অরুনা, আলীপুরী, বেনীসান, নীলাম্বরী, দশরী, কাজলা ও মায়ানমারের-মায়ানমার স্পেশাল, বারি-১, বারি-২, কাটিমন, মিনথলিন ও থাই।

আম গবেষণা কেন্দ্রের হিসেবমতে বাংলাদেশে যত আম উৎপাদন হয় তার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জেই হয় সবচেয়ে বেশি। চলতি বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। প্রায় ৬০ লাখ গাছে চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগ জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। গতবছর জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আড়াই লাখ মেট্রিক টন এবং তার আগের বছর ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছিল।

তবে উৎপাদন যাই হোকনা কেন আগামী মাসের মধ্যে বাজারে নামতে শুরু করবে আম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রথমে গোপালভোগ আম পাঁকতে শুরু করে। একই সময়ে বাজারে আসবে মহানন্দা ও গুটি জাতের আম। বারি-২ বা লক্ষণভোগ ও ক্ষিরসাপাত আম জুনের প্রথম সপ্তাহে পাকা শুরু হবে।

এরপর জুনের মাঝামাঝি সময়ে ল্যাংড়া ও মাসের শেষের দিকে বাজারে আসবে ফজলী আম। এমনকি ফজলী আমের পরপরই এক সপ্তাহ পর বাজারে আসবে বারি-৪ ও আম্রপালী জাতের আম। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ ও মাঝামাঝি সময়ে আসবে আশ্বিনাসহ আরও কয়েকটি নাবী জাতের আম। জেলার বৃহৎ আমের মোকাম কানসাটের আমের আড়ৎদার বরজাহান আলী জানান, গোপালভোগ আর গুটি জাতের আম একসঙ্গে বাজারে আসে। আমরা বাগান কিনে রেখেছি, আর এবার আম উৎপাদনের জন্য অনইয়ার হওয়ায় আশা করা হচ্ছে এবার আমের উৎপাদন ভালই হবে।

এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত¡ গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, চাঁপাইনবাগঞ্জের তিন চতুর্থাংশ বাগানই বড় গাছের। তবে গত ১০ বছরে জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলে ছোট গাছের বেশ কিছু বাগান গড়ে উঠেছে এবং ফলনও হয়েছে বেশ ভাল। তাই এবার সেই সব গাছের উপরই নির্ভর করবে জেলায় আমের সার্বিক উৎপাদনের পরিমাণ। 

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com