পটুয়াখালীর বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় বরসহ নিখোঁজ চারজনের এখনও সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, নৌপুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে।
এদিকে নিহতদের মরদেহ দাফনে ২০ হাজার টাকা করে প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা মো. রেজওয়ান জানান, বিকেল থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছে। ইতোমধ্যে বরিশাল থেকে ডুবুরি দলের সদস্যরা অভিযানে অংশ নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজদের স্বজনরা জানান, কয়েকদিন আগে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়ার গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে রাব্বি হাওলাদারের সঙ্গে চরবোরহান ইউনিয়নের হুমায়ুন মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার রাব্বি হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে নববধূকে আনতে যান।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুক্রবার বিকেলে নববধূ সুমাইয়াসহ ১৫ জন আত্মীয়কে নিয়ে চরবোরহান থেকে ট্রলারযোগে বাড়ির ফিরছিলেন। এসময় তাদের ট্রলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি পৌঁছালে ঝড়ের কবলে পড়ে নদীতে ডুবে যায়।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা জানান, নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ চারজনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ