মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মেট্রোরেল লাইনের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ গাজায় তীব্র শীতে মারা যাচ্ছে একের পর এক শিশু টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো শাকিব খানের ঢাকা জিমি কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু : প্রধান উপদেষ্টা ঈশ্বরদীর সাবেক মেয়র ঢাকায় গ্রেপ্তার পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর হলেন তারিক, ৮ এসপিকে বদলি তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধনী খামে প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে তিন অভিবাসীর মৃত্যু মঙ্গলবার ব্যাংক হলি ডে, লেনদেন বন্ধ রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জিয়া পরিষদের ফুলেল শুভেচ্ছা বাণিজ্য মেলা শুরু বুধবার, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে মঙ্গলবার সীমান্তের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত পাকিস্তানের পাঞ্জাবে দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৮ মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ঝড়, বড় স্কোর তাড়া করে শুভ সূচনা বরিশালের সাবেক আইজিপি মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ কৃষক বিদ্রোহে অচল পাঞ্জাব, ২০০ ট্রেন বাতিল মামলা বাণিজ্য শুরু হয়েছে: আসিফ নজরুল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মাইকেল চাকমার অভিযোগ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা

রমজানের এই দিনে নাজিল হয়েছে যে আসমানী কিতাব

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির হেদায়েতের জন্য বিভিন্ন সময়ে নবী-রাসুল পাঠিয়েছিলেন। প্রেরিত নবী-রাসুলের সংখ্যা ছিলো প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার। আল্লাহ তায়ালা সর্বাধিক নবী পাঠিয়েছেন বনী ইসরাইলে। বনী ইসরাইলে প্রেরিত সর্বশেষ নবী ছিলেন হজরত ঈসা (আ.)। তাকে আসমানী প্রধান চার কিতাবের একটি -ইনজিল প্রদান করা হয়।

তৎকালীন বনী ইসরাইলকে সঠিক পথের দিশা দিতে পবিত্র রমজানের ১২ তারিখে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর ইনজিল নাজিল করেন।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর আমি তাদের পেছনে মারইয়াম পুত্র ঈসাকে পাঠিয়েছিলাম তার সম্মুখে বিদ্যমান তাওরাতের সত্যায়নকারীরূপে এবং তাকে দিয়েছিলাম ইনজিল, এতে রয়েছে হিদায়াত ও আলো এবং (তা ছিল) তার সম্মুখে অবশিষ্ট তাওরাতের সত্যায়নকারী, হিদায়াত ও মুত্তাকীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত, ৪৬)

হজরত ঈসা আল্লাইহিস সালাম আল্লাহর কুদরতের অপূর্ব নিদর্শন হিসেবে মানুষের জন্মের সাধারণ নিয়মের বাইরে পিতা ছাড়াই ইমরান-তনয়া কুমারী মাতা মরিয়মের গর্ভে আবির্ভূত হন।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, যখন ফেরেশতাগণ বলল, হে মারইয়াম! আল্লাহ তোমাকে তাঁর এক বাণীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম হলো মসীহ-ঈসা ইবনে মারইয়াম; দুনিয়া ও আখিরাতে তিনি মহাসম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। যখন তিনি মায়ের কোলে থাকবেন এবং পূর্ণ বয়স্ক হবেন, তখন তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। আর তিনি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।

তিনি বললেন, পরওয়ারদেগার! কেমন করে আমার সন্তান হবে; আমাকে তো কোনো পুরুষ-মানুষ স্পর্শ করেনি। বললেন, এভাবেই। আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। তিনি যখন কোনো কাজ করার জন্য ইচ্ছা করেন তখন বলেন যে, ‘হয়ে যাও’, অমনি তা হয়ে যায়। ‘ (সুরা আলে ইমরান : ৪৫-৪৭)

হজরত ঈসা (আ.) মানুষকে আল্লাহর একত্ববাদের দিকে আহ্বান করেছেন। তাদের মহান রবের একনিষ্ঠ পথ অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ঈসা যখন স্পষ্ট নিদর্শনসহ আগমন করল, তখন বলল, আমি তোমাদের কাছে প্রজ্ঞা নিয়ে এসেছি এবং তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ, তা ব্যক্ত করার জন্য এসেছি। অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং আমার কথা মানো। নিশ্চয়ই আল্লাহই আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালক। অতএব, তাঁর এবাদত করো। এটা হলো সরল পথ। ‘ (সুরা আয যুখরূফ : ৬৩-৬৪)

আল্লাহ তায়ালা তার এই নবীকে বিশেষ কিছু মুজিজা (অলৌকিক ক্ষমতা) দান করছিলেন।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,   ‘তুমি মানুষের সঙ্গে কথা বলতে, দোলনায় এবং পরিণত বয়সেও এবং যখন আমি তোমাকে গ্রন্থ, প্রগাঢ় জ্ঞান, তাওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছিলাম এবং যখন তুমি কাদামাটি দিয়ে পাখির প্রতিকৃতির মতো প্রতিকৃতি নির্মাণ করতে আমার আদেশে। অতঃপর তুমি তাতে ফুঁ দিতে; ফলে তা আমার আদেশে পাখি হয়ে যেত এবং তুমি আমার আদেশে জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে নিরাময় করে দিতে এবং যখন তুমি আমার আদেশে মৃতদের বের করে দাঁড় করিয়ে দিতে এবং যখন আমি বনি-ইসরাঈলকে তোমাদের থেকে নিবৃত্ত রেখেছিলাম, যখন তুমি তাদের কাছে প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিলে। অতঃপর তাদের মধ্যে যারা কাফির ছিল, তারা বলল, এটা প্রকাশ্য জাদু ছাড়া কিছুই নয়।

আর যখন আমি হাওয়ারিদের মনে জাগ্রত করলাম যে আমার প্রতি এবং আমার রাসুলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো, তখন তারা বলতে লাগল, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম এবং আপনি সাক্ষী থাকুন যে আমরা আনুগত্যশীল। ‘ (সুরা আল-মায়েদা : ১১০-১১)

হজরত ঈসা আ. তার যুগের মানুষদের হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুসংবাদ দিয়েছিলেন।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর যখন মারইয়াম পুত্র ঈসা বলেছিল, ‘হে বনী ইসরাঈল, নিশ্চয় আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল। আমার পূর্ববর্তী তাওরাতের সত্যায়নকারী এবং একজন রাসূলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আসবেন, যার নাম আহমদ’। অতঃপর সে যখন সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বলল, ‘এটাতো স্পষ্ট যাদু’।’ (সুরা সফ, আয়াত, ০৬)

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com