বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর থেকে : ফরিদপুরের গ্রামগঞ্জে গড়ে উঠছে নানা ধরনণের শিল্প কারখানা ও সেবাকেন্দ্র। আর এসব প্রতিষ্ঠাণে কর্মরত শ্রমিকদের অধিকাংশই স্থাণীয়। স্থাণীয়দের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত অলসহাতগুলো সচল হচ্ছে। এতে পরিবর্তণ আসছে স্থানীয়দের জীবনমানে।
গত জুন মাসে ফরিদপুরের সদরপুরের নতুনবাজার এলাকায় চালু হয় ম্যাক্স ব্র্যান্ডের নানা ধরণের ভ্যাগ সার্ভিসিং সেন্টার। ওই প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সংখ্যা তিনশতাধিক, যাদের অধিকাংশই নারী এবং স্থানীয়।
কর্মরত নারীরা জানান, এলাকাই বাইরে গিয়ে কাজ করা যেমন কঠিন তেমনি ঝুকিপূর্ণও। তাই এলাকায় প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় নিরাপদে কাজ করতে পারছেন তারা। আর উপার্জিত অর্থ কাজে লাগানো হচ্ছে পরিবারের, এতে পরিবর্তন আসছে স্থাণীয়দের জীবনমানে।
কর্মরত শ্রমিকরা মনে করেন, পরিবারের সাথে থেকে এলাকার প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারায় শা¯্রয়ী হচ্ছে খরচ। তাই স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারায় বাড়ছে কর্মস্পৃহা। এছাড়া স্থানীয়ভাবে প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠাও সেখানে কাজে সম্পৃক্ত থেকে সময় পার করায় কমছে মাদকসেবীর সংখ্যা, এছাড়া কমছে অপরাধিদের সংখ্যাও।
গ্রামগঞ্জে শিল্প কারখানা ও সেবাকেন্দ্র গড়ে ওঠাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন স্থানীয়রা। তারা মনে করেন, গ্রামগঞ্জে বেশী বেশী শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে গ্রামের মানুষের। উন্নয়ন হবে আর্ত সামাজিক অবস্থার।
আর উদ্যোক্তারা মনে করেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি শ্রমিকের সহজলভ্যতা ও পারিপার্শিক পরিবেশ অনুকুল হওয়ায় গ্রামাঞ্চলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন। তাদের মতে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে হলে শিল্পপতিষ্ঠান স্থাপনের বিকল্প নেই। তারা মনে করেন, গ্রামাঞ্চলে প্রতিষ্ঠান স্থাপন করলে উৎপাদন খরচ কম হয়, এতে কমবে পন্যের মূল্যও।
জেলার চেম্বারের কর্মকর্তারা জানান, এঅঞ্চলে একসময় কেউই শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়তে আগ্রহী ছিলনা। গত এক দশকে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশত শিল্প কারখানা। সম্প্রতি পদ্মাসেতু নির্মান শুরু হলে বিভিন্ন গ্রুপ শিল্পপ্রতিষ্ঠান করার কথা ভাবছে, যা ইতিবাচক।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, গ্রামগঞ্জে শিল্প কারখানা ও সেবাকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে গ্রামের হাজারো অলস হাতকে সচল করা গেলেই আসবে অর্থনৈতিক মুক্তি, চাপ কমবে রাজধাণীসহ দেশের বড় বড় শিল্প শহরের উপর থেকে। এছাড়া নানা অপরাধমুক্ত হবে সমাজ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস