আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ বিভাগীয় জনসভায় যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বিশেষ ট্রেনে ময়মনসিংহে এসেছেন নেতাকর্মীরা। ট্রেনের ভেতরের আসন পরিপূর্ণ হওয়ায় নেতাকর্মীরা উঠেছেন ছাদেও। ইঞ্জিনের সামনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়াতে দেখা গেছে তাদের। এ যেন ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার প্রতিচ্ছবি।
সভায় যোগ দিতে আসা মানুষগুলোর হৃদয়ে উচ্ছ্বাসের যেন সীমা নেই। প্রায় সাড়ে চার বছর পর ময়মনসিংহ নগরে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখতে ও আগামী দিনে শেখ হাসিনার বার্তা শুনতে ছুটে এসেছেন এসব মানুষ।
শনিবার (১১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশনে দেখা মেলে এমন চিত্র। সকাল থেকে বিশেষ ৮টি ট্রেনে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মানুষ আসেন। স্টেশন থেকে মিছিল নিয়ে যান সমাবেশস্থলে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষ্যে জামালপুর-ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা এই তিন জেলা থেকে বিশেষ আটটি বিশেষ ট্রেন বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসতে শুরু করে শনিবার সকাল থেকে। ময়মনসিংহ জেলায় যাতায়াতের জন্য গফরগাঁও-ময়মনসিংহ, নান্দাইল-ময়মনসিংহ, দেওয়ানগঞ্জ বাজার-জামালপুর-ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ, জামালপুরের সরিষাবাড়ির অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান স্টেশন-ময়মনসিংহ, গৌরীপুর-ময়মনসিংহ, ঈশ্বরগঞ্জ-ময়মনসিংহ, জারিয়া-ঝাঞ্ঝাইল-ময়মনসিংহ রুটে ৮টি বিশেষ ট্রেন এসেছে জেলা ও উপজেলা থেকে।
আজ বিকেল ৩টায় ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৩০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকে সমাবেশস্থলে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার নেতাকর্মীরা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ