রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইউক্রেনে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার পাশে থাকবে উ. কোরিয়া ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৬৬ এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করার সময় অগ্নিদগ্ধ শ্রমিক সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা রংপুরে জাতীয় পার্টির লাঠি মিছিল, ভিপি নুরকে হুঁশিয়ারি হিমালয়ের আমা দাবলাম পর্বত জয় করলেন তানভীর ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি পদে ৬ জনের পদোন্নতি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯ দফা দাবি পেশ ‘অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিকতা হারিয়েছে’ ১০ মাসে ডেঙ্গুতে ৩০০ মৃত্যু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২ সেনাবাহিনী-পুলিশের গাড়িতে আগুন, তিনজন কারাগারে রাজবাড়ীর ডিসি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জাহিদুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে: খামেনি মেঘনায় স্পিডবোট-ট্রলার সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত মধ্যপ্রাচ্যে বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র ৩ নভেম্বর ঢাকার রানওয়ে স্পর্শ করবে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স সরকার কোনো গোষ্ঠীর কাছে দায়বদ্ধ নয় : জ্বালানি উপদেষ্টা ৪৩ যাত্রীকে জিম্মি করে বাসে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৩

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যেভাবে জয় পেল বিজেপি

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিনটি রাজ্যে সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডে বিজয়ী হয়েছে বিজেপি। মেঘালয়ে বিজেপি কম আসন পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করেছে নরেন্দ্র মোদির দল।

নির্বাচনের এই ফলাফল আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে গেরুয়া শিবিরের অধিপত্য বিস্তারে বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলো কিছুটা বেকায়দায় পড়বে বলেও মনে করছেন অনেকে।

গত ২ মার্চ তিনটি রাজ্যে বিধানসভার ভোট গণনা হয়েছে। যার সবগুলোতেই কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি ভোটের আগে বা পরে করা জোটের সঙ্গীদের নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।

গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) মেঘালয় রাজ্যে দ্বিতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন স্থানীয় দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রধান কনরাড সাংমা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মেঘালয়ে ৬০ সদস্যের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩১ আসন। এনপিপি পেয়েছে ২৬টি। এরপর প্রথমেই তাদের সমর্থন জানায় বিজেপি এবং তারপর একাধিক স্থানীয় দল যার মধ্যে রয়েছে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি, যারা পেয়েছে ১১টি আসন। এছাড়া রয়েছে পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এবং হিল স্টেট পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, যারা দুটি করে আসন পেয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে ৬০ আসনের বিধানসভায় ক্ষমতাসীন এনপিপি-বিজেপি জোটের শক্তি দাঁড়িয়েছে ৪৫।

একই দিন (মঙ্গলবার) নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এনডিপিপির নেইফিউ রিও। ৬০ আসনের নাগাল্যান্ড বিধানসভায় জোট করে লড়েছিল নেইফিউ রিওর এনডিপিপি এবং বিজেপি। এনডিএ জোট ৩৭ আসনে জয়ী হয়েছিল। বিরোধীদের মধ্যে এনসিপি ৭টি, জেডিইউ ১টি, এনপিপি ৫টি, লোকজনশক্তি পার্টি ২টি এবং রামদাস আতাওয়ালের রিপাবলিকান পার্টি পেয়েছে ২টি আসন।

এদিকে বুধবার (৮ মার্চ) ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপির মানিক সাহা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগরতলার এই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্, বিজেপির সভাপতি জেপি নড্ডা ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

ত্রিপুরায় এবারের বিধানসভা নির্বাচনে আসন ও ভোট সংখ্যা কমলেও ৩২টি আসনে জয় নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। রাজ্যটির সাবেক ক্ষমতাসীন দল সিপিএম ও কংগ্রেস জোট বেঁধে নির্বাচন করে ১৪টি আসন পায়। সিপিএম ১১টি ও কংগ্রেস পেয়েছে ৩টি আসন।

ভারতে চলতি ২০২৩ সাল জুড়ে মোট ১০টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে, এরপর আগামী বছরের শুরুতেই হবে দেশব্যাপী লোকসভা নির্বাচন।

বলা যেতে পারে, চলতি বছরে দেশটিতে ভোটের মৌসুম শুরু হলো এই তিনটি রাজ্য দিয়ে, আর তার ফলাফল অবশ্যই বিজেপির মনোবল বাড়াবে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এই তিনটি রাজ্যেই খুবই খারাপ ফল করেছে।

দিল্লিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমন শর্মার মতে, তিনটির রাজ্যের ফলাফলের মধ্যে ত্রিপুরার ফলাফল বিজেপির কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ-কারণ তারা প্রমাণ করতে পেরেছে ২০১৮ তে বামপন্থিদের হারিয়ে তাদের ত্রিপুরায় জেতাটা অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনা ছিল না।

তিনি আরও বলেন, অতীতে বিভিন্ন রাজ্যে অনেকবারই দেখা গেছে, যখনই রাজ্যে বিরোধী শক্তিগুলো জোট বেঁধে বিজেপির মোকাবিলা করেছে তখনই বিজেপি বেশ বেকায়দায় পড়েছে। ২০১৫ সালের বিহারের নির্বাচন ছিল এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

আমন শর্মা বলেন, ত্রিপুরাতেও এবার বিরোধী বামপন্থি ও কংগ্রেস জোট বেঁধে লড়েছিল, পাশাপাশি ছিল উপজাতীয়দের নতুন দল তিপ্রা মোথা। এই ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণেই রাজ্যে বিজেপির জেতা সম্ভব হয়েছে, গতবারের তুলনায় আসন কম পেলেও তারা রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ভারতে যে সব রাজ্যে নির্বাচন আসন্ন, সেখানে বিজেপিবিরোধী শক্তিগুলো যদি জোট বেঁধে লড়তে পারে তাহলে তারা বিজেপিকে বেগ দিতে পারবে–ত্রিপুরার ফলাফল সেটাই আরও একবার প্রমাণ করে দিল।

এদিকে ২ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদীঘী আসনের উপনির্বাচনের বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে হারিয়ে আসনটি জিতে নিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা থেকে তৃণমূল প্রার্থীর এই পরাজয়।

বছর দুয়েক আগের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বা বামপন্থি দলগুলোর একজন প্রার্থীও জিততে পারেননি–স্বাধীনতার পর রাজ্য বিধানসভায় কোনো কংগ্রেস বা বাম সদস্য নেই, সে ঘটনাও ঘটেছিল প্রথমবারের মতো।

পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, এখন প্রমাণ হয়ে গেল মমতা ব্যানার্জিও অপরাজেয় নন।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, নরেন্দ্র মোদিজি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যে উন্নয়নের ধারা তৈরি করেছেন তারই ফলাফল এই তিন রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনের ভোটে প্রতিফলিত হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/একে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com