দেশের সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ রবিবার এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি তাদের পুরনো অপকৌশল অবলম্বন করে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতা শুরু করেছে। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী যথাসময়ে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। তাই নির্বাচনে নিজেদের ক্রমাগত ব্যর্থতার কারণে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
‘এদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সামরিক ফরমান জারি করে জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিল।
রাষ্ট্রপতি হতে জিয়াউর রহমানের কোনো প্রস্তাবক ও সমর্থকের প্রয়োজন ছিল না। একইসঙ্গে অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান ও প্রধান সামরিক আইন কর্মকর্তা পদে থেকে হ্যা/না ভোটের আয়োজন করে, যা সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক এবং বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী বিধিমালা পরিপন্থী।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জিয়াউর রহমান জাতিকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল এবং সামরিক আইন বহাল রেখে ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করেছিল। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিল; বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসিয়ে মহান জাতীয় সংসদকে কলঙ্কিত করেছিল।’
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি এদেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রধান প্রতিবন্ধক; বাংলাদেশের রাজনীতির সব অশুভ শক্তির প্রতিভূ। জনগণ কর্তৃক বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি আজ তাদের ব্যর্থতার দায়ভার জাতির উপর চাপাচ্ছে।
এমনকি নিজেদের দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বকে জায়েজ করতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্ব এক সংকটকাল অতিক্রম করছে। এই সংকটের মধ্যেও শেখ হাসিনা দেশের জনগণের সুরক্ষা দিয়ে চলেছেন। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের সংবিধান মেনেই আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নেতাদের বোধগম্য হওয়া উচিত, নির্বাচন প্রতিহত এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করে কোনো লাভ নেই।
জনগণের রায়ে সাংবিধানিক উপায়েই ক্ষমতা পরিবর্তন হবে। আমরা বিএনপির প্রতি আহ্বান জানাই, ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসুন; নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ