পতাকা উত্তোলন দিবসের স্মৃতিচারণে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, দীর্ঘদিন অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় থেকে সংবিধানকে ব্যক্তির ইচ্ছাধীন করার ফলে সংবিধান ও নাগরিকের সঙ্গে সামাজিক চুক্তির অকার্যকরতায় রাষ্ট্র ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক অবস্থায় নিপতিত হয়েছে। এই ধরনের জাতীয় মহাসংকট নিরসনে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার স্বার্থে অভ্যন্তরীণ ঔপনিবেশিক রাজনীতির পরিবর্তে গণমানুষের রাষ্ট্র বিনির্মাণে এবং মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার পূরণে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ’ অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
আজ পতাকা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জেএসডি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আ স ম রব আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতার লড়াই কোন একক ব্যক্তি কর্তৃক সম্পন্ন হতে পারে না বা হয়ওনি। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ ও লড়াইয়ে একসাগর রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংঘঠিত মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি মুহূর্তে পাকিস্তানে বন্দি বঙ্গবন্ধুর নামটিই লাখ কোটি বাঙালি বা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছে কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, হাজার মাইল দূরে শত্রুশিবিরে বন্দি থেকে মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক বা সামরিক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব ছিল না।
শত্রুশিবিরে বন্দি থেকে কোন নেতার পক্ষেই তা সম্ভব নয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিচক্ষণ নেতা ও রাজনীতিবিদ তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন প্রবাসী সরকারই ইতিহাস নির্ধারিত কর্তব্য সম্পাদন করেছেন।
জাতিরাষ্ট্র গঠনের পথ-পরিক্রমায় মাওলানা ভাসানী, স্বাধীনতার রূপকার সিরাজুল আলম খান ও তার নেতৃত্বে নিউক্লিয়াস, জিয়াউর রহমানের পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, কাদেরিয়া বাহিনীসহ যার যা অবদান ও ঐতিহাসিক কর্মকাণ্ড তা স্বীকার করতে হবে। সবার অবদান অস্বীকার করে বা মুছে দিয়ে শুধু একজন ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা ইতিহাসের ভয়াবহ বিকৃতি। সরকারকে বিকৃত ইতিহাসের বয়ান থেকে অবশ্যই সরে আসতে হবে।
সিনিয়র সহ-সভাপতি বেগম তানিয়া রবের সভাপতিত্বে এবং কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কমরেড সাইফুল হক, জুনায়েদ সাকি, এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, এডভোকেট ফাতিমা হেনা, মোশাররফ হোসেন, এস এম সামছুল আলম নিক্সন প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ